এশিয়া
বিদেশে এখন
0

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে নির্বাচিত নয়

সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি কমিশনের

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে ভোটগণনা। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ভোটে এগিয়ে বামপন্থী অরুনা কুমারা দিসানায়েকে। ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে কেউ নির্বাচিত না হলে প্রথম ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট গ্রহীতার মধ্যে আবারও হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন বলছে, দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২০২২ সালে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর শ্রীলঙ্কায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শনিবার শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষে ৬ ঘণ্টার জন্য জারি করা হয় কারফিউ। চলছে ভোটগণনা।

এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে, মার্কসপন্থী অনুরা কুমারা দিসানায়েকে ভোট পেয়েছেন ৪৭ শতাংশ। সদ্য বিলুপ্ত পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৩২ শতাংশ ভোট। আর প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে পেয়েছেন ১৬ শতাংশ ভোট।

প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীর প্রয়োজন ৫১ শতাংশ ভোট। কোন প্রার্থী এই পরিমাণ ভোট না পেলে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থীর মধ্যে ফের ভোট হবে। দ্বিতীয় ধাপে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থীই হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।

শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে ১৯৮২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৮টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলছে, শনিবারের নির্বাচন দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন ৩৮ জন প্রার্থী।

২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন গোতাবায়া রাজাপাকশে। এরপর চরম অর্থনৈতিক সংকটে গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে পালিয়ে যান তিনি। পরে দায়িত্ব নেন রনিল বিক্রমাসিংহে।

নতুন প্রেসিডেন্টকে অর্থনীতি স্থিতিশীল করার পাশাপাশি চরম দারিদ্র্য থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। গোতাবায়া রাজাপাকশের পদত্যাগের পর দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দ্বীপ দেশটির অর্থনৈতিক সংকট চরমে পৌঁছায়।

জনপ্রতি ঋণ পৌঁছায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে, মূল্যস্ফীতি পৌঁছায় ৭০ শতাংশে। তবে প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বে দেশটির অর্থনীতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ায়, মূল্যস্ফীতিও নেমে আসে শূন্যের ঘরে। বর্তমানে দেশের ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ পরিশোধই নতুন সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।