গেল শুক্রবার সাজেকে প্রায় ১৫শ পর্যটক ভ্রমণে যান। কিন্তু খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও মধুপুরে পাহাড়ি বাঙালি সহিংসতার জেরে শুক্রবার রাঙামাটি শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
এর জেরে শনিবার সকাল ৬টা থেকে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে বিক্ষুব্ধ ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে 'সিএইচটি ব্লকেড' নামে সড়ক ও নৌপথে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দেয় পাহাড়িরা। এতেই যানবাহন বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হতে শুরু করে।
আকস্মিকভাবে এই অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়ায় যে-সব পর্যটক সাজেকে ভ্রমণে আসেন তারা ফিরতে না পারায় আটকে পড়েন।
সাজেক রিসোর্ট অ্যান্ড কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন জানান, অবরোধের কারণে সাজেকে পর্যটকরা আটকা পড়েছেন। তবে গত দুই বছর ধরে আমাদের সক্রিয় ঘোষণা দেয়া আছে যে, প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক বা বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে পর্যটকরা আটকা পড়লে তখন শুধু ‘পানির খরচ’ দিয়েই থাকতে পারবে।
কারণ ব্যবহার করার এসব পানি বাইরে থেকে গাড়ি ভাড়া করে আনতে হয়। প্রতি গাড়ি পানির খরচ পড়ে ১২শ টাকা। যেটি সাধারণত কটেজ মালিকেরাই বহন করে। তবে রেস্টুরেন্টের পর্যটকদের খাবার খরচ নিজেদেরই বহন করতে হবে ।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, ‘৭২ ঘণ্টার অবরোধে সাজেকে ১৫শ’র কাছাকাছি পর্যটক আটকা পড়েছেন। পর্যটকরা কটেজেই অবস্থান করছেন। থাকা খাওয়ার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। একটু যদি ইমপ্রুভ হয়, পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবো। এর আগে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।’