পরিষেবা
অর্থনীতি
0

প্রিপেইড মিটারে তিনগুণ বিল, সমাধান না পেয়ে নাটোরবাসীর চরম দুর্ভোগ

নাটোরে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই গ্রাহকদের। নানা চার্জের নামে টাকা কেটে নেওয়ায় দিশেহারা হয়ে আছে জেলার অন্তত ৩২ হাজার গ্রাহক। প্রিপেইড মিটার প্রতিস্থাপনের পর শুরু থেকেই অভিযোগ জানালেও আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আল্টিমেটামেও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা নেসকো। যদিও সংশ্লিষ্টদের দাবি, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠালেও আটকে আছে সিদ্ধান্ত।

নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে গেল তিন বছর ধরে বিভিন্ন চার্জের নামে কেটে নেয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ দিলেও মেলেনি সুরাহা। এছাড়া মিটারে রিচার্জেও বেড়েছে ভোগান্তি। সব মিলিয়ে পাওনা পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের।

স্থানীয় একজন বলেন, 'মিটারে এক হাজার টাকা ভরলে ৬০০ টাকা পাই। এভাবে প্রতিমাসে চার থেকে পাঁচবার টাকা উঠাতে হয়। যেখানে আমার আগের বিল আসতো এক হাজার টাকা আর এখন বিল আসে তিন হাজার টাকার বেশি। আগের যে মিটার ছিল, সেটিই আমরা চাই।'

গেল ২০ আগস্ট নেসকোর প্রিপেইড মিটার বাতিলসহ নয় দফা দাবি নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘেরাও করে নাটোরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে সাতটি দাবি মেনে নেয় নেসকো কর্তৃপক্ষ। বাকি দু'টি দাবি আদায়ে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিলেও গেল ৩১ আগস্ট ফুরিয়েছে সময়। তবে, মেলেনি কাঙ্ক্ষিত সমাধান।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী শেখ ওবায়তুল্লাহ বলেন, 'যদি মিটারটা পরিবর্তন না হয়, তাহলে আমাদের এই আন্দোলনটা অব্যাহত থাকবে। মন্ত্রণালয়ের যে ফিডব্যাক সে পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো।'

নেসকো কর্তৃপক্ষ বলছে, সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসলে প্রিপেইড মিটার পরিবর্তন করে দেয়া হবে।

নাটোর নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী বিকাশ আগরওয়ালা বলেন, 'আমরা অফিসিয়ালি আমাদের নেসকো থেকে মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এছাড়া ছাত্র-জনতা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমেও সরকারকে জানানোর পরিকল্পনা করছে। এই সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় থেকে আসলে, যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটাই বাস্তবায়ন করা হবে।'

বর্তমানে নাটোর পৌরসভা এলাকায় নেসকোর আওতায় প্রায় ৩৪ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন অন্তত ৩২ হাজার গ্রাহক। এ অবস্থায় আবারও পোস্টপেইড মিটার প্রতিস্থাপনের দাবি স্থানীয়দের।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর