দুবাই থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে আরব আমিরাতের গ্রিন সিটি আল আইন। যেখানে মরুর বুক চিরে সবুজের হাতছানিতে তাপমাত্রার পারদ তুলনামূলক কম। ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পছন্দের শহরের তালিকায় শীর্ষে আল আইন।
এখানকার নানা স্থাপনা ও পাহাড় ঘেঁষা দৃষ্টিনন্দন স্থান নজর কাড়ে পর্যটকদের, যা দেখতে বেশি আনাগোনা থাকে শীত মৌসুমে। তবে, সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে বন্ধু-স্বজনের সঙ্গে নিয় ঘুরতে আসেন কেউ কেউ।
সারিসারি ভবন এ শহরটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বাণিজ্যিকভাবে নির্মিত এই ভবনগুলো ঘিরেই গড়ে উঠছে শহরটির ব্যবসা-বাণিজ্য। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন অনেক বাংলাদেশিও।
আল আইনের এক ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম বলেন, ‘গাড়ি মেরামত ও নির্মাণ সামগ্রী ব্যবসার পাশাপাশি আল আইনের মূল শহরে বেশ সুনামের সাথেই হোটেল-রেস্তোরাঁর ব্যবসা করছেন বাংলাদেশিরা। গত কয়েক বছরে কেবল এই খাতেই গড়ে উঠেছে কয়েকশ প্রতিষ্ঠান। যেগুলো নামকরণও হয়েছে বাংলায়।’
সন্ধ্যা হলে এই বাজার ঘিরে বসে শ্রমজীবীদের হাট। চলে কর্মঘণ্টা বেচাকেনা। স্বদেশিদের গণজমায়েতের কারণে বাজারের একটি অংশ অনেকের কাছে বাংলা বাজার নামেও পরিচিত।
প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সৌন্দর্যে চোখ জুড়ানো এই শহরের উন্নয়ন হয়েছে ধীরে ধীরে। ৩৫ থেকে ৪০ বছর ধরে বিভিন্ন খাতে শহরটিতে কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। টেকসই এই উন্নয়নের পেছনে ভিন্নদেশীদের মতো নিজেদের অবদানের কথা জানান প্রবাসীরা।
সিআইপির ইউসুফ শরিফ টিপু বলেন, ‘ছোট বড় ব্যবসা ছাড়াও নির্মাণ শ্রমিক, বাগান কর্মী, গ্যারেজ-অটোমোবাইল কর্মী মিলে সাধারণ শ্রমজীবী বাংলাদেশিদের সংখ্যা এখানে কয়েক হাজার। এদিকে তারা যেমন শহরটির উন্নয়নে অবদান রাখছেন তেমনি দেশের অর্থনীতিতে সমান অবদান তাদের।’