পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সকালে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মতাদর্শীরা কসবা উপজেলা চত্ত্বর থেকে জশনে জুলুসের শোভাযাত্রা করার প্রস্তুতি নেয়। তবে এ শোভাযাত্রা হেফাজতে ইসলামের কসবা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক গাজী ইয়াকুব ওসমানীর নির্দেশনায় এবং স্থানীয় নেতা মাওলানা আরিফের নের্ত্বত্বে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়।
এর প্রেক্ষিতে কদমতলী মোড়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত এবং মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের বাঁধে। দুপক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কসবা থানার পরিদর্শক মো. বিল্লার হোসেন জানান, উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের নিয়ে আগেই আলোচনা করা হয়েছিল যেন কোনো রকম সংঘর্ষে না জড়ায়। তারপরও আহলে সুন্নত ওয়াল এবং মাদরাসা শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনীও কাজ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।