স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনার বিদায়ের পর সারাদেশের ন্যায় দেবিদ্বারেও ছাত্রজনতা উল্লাসে মেতে উঠে, চলে আনন্দ মিছিল।
এসময় কিছু দুষ্কৃতকারী থানায় আক্রমণ করে পুলিশের পিকাপ ভ্যান পুড়িয়ে দেয় এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এসময় পুলিশ গুলি চালালে স্থানীয় সাংবাদিকসহ প্রায় ৬০ জন আহত হয়। ওই সময় সাব্বিরের মাথায়ও গুলি লাগে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সাব্বিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওইখানে প্রায় একমাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাব্বির বাড়িতে ফিরেন।
কিন্তু বাড়ি ফিরার একদিন পরই শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সাব্বির অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর সাব্বিরের মামা নাজমুল হাসান বাদী হয়ে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদসহ ৯৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার বাদী নাজমুল হাসান জানান, মূলত গত ৫ আগস্ট সকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সাব্বিরকে গুলি করে গুরুতর আহত করে। এর আগেরদিন পৌর সেচ্ছাসেবকদলের নেতা রুবেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে আমরা ৫ আগস্ট মিছিল বের করলে তারা আবারও গুলি চালায়। এতে সাব্বির আহত হয়।