অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে দুই মাসের সাধারণ ক্ষমা। এতে বৈধতা নিশ্চিত ইমিগ্রেশনগুলোতে ছুটছেন দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীরা। সুযোগ কাজে লাগতে তৎপর বাংলাদেশিরাও। পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়াতে ভিড় করছেন দেশটিতে অবস্থিত দুটি বাংলাদেশ মিশনে।
অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীরাদের মধ্য একজন বলেন, 'এখন যেহেতু সুযোগ পেয়েছি । পুলিশ রিপোর্ট করে পাসপোর্ট করে পাসপোর্ট হলে ইনশাল্লাহ ভিসা লাগাবো। এখানে পারমেট হিসেবে থাকব।'
এখন আমি ভিসা লাগাচ্ছি । পাসপোর্ট বানায় ফেলেছি বলেও জানান একজন।
সাধারণ ক্ষমার আওতায় জেল-জরিমানা ছাড়াই দেশে ফেরার এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না অনেকে। তাই ভ্রমণ অনুমতি নিতেও বাড়ছে ব্যস্ততা।
আরো একজন বলেন, 'তিন বছর ধরে ভিসা নাই। অনেক দিন পর সুস্থভাবে দেশে যেতে পারছি সাধারণ ক্ষমা নিয়ে। জেল জরিমানা ছাড়াই যাচ্ছি এইজন্য অনেক শুকরিয়া।'
মিশনগুলো জানায় চলমান সাধারণ ক্ষমায় পাসপোর্টের গড় আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে। দিনে আবেদন ছাড়িয়ে যাচ্ছে ছয় থেকে সাত শতাধিক।
২ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ই-পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়েছে ৬ হাজার ৮৩৫টি।
আর এমআরপি পাসপোর্টের আবেদন ৮৪৪টি। এ ছাড়া আবুধাবি দূতাবাসে গত ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬৩০টি ই-পাসপোর্ট এবং ৭৫৫টি এমআরপি পাসপোর্টের আবেদন করেন প্রবাসীরা। বৈধতার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন নিশ্চিতের তাগিদ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, 'দেরিতে যদি পাসপোর্টের আবেদন তাহলে পাসপোর্ট এখানে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে। পাসপোর্ট হাতে না পেলে বৈধ হওয়ার সুযোগ থেকে বন্ঞ্চিত হবে। এইজন্য সকলের প্রতি অনুরোধ যারা সাধারণ ক্ষমা পেতে চান তারা যেন অবশ্যই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাসপোর্ট দাখিল করেন।'
এদিকে দুবাই ও উত্তর আমিরাতে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ট্রাভেল পারমিটের আবেদন করেছেন ৫৪০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি। আবুধাবি দূতাবাসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সেখানে ভ্রমণ অনুমতি চেয়েছেন ২৯ জন প্রবাসী।
শ্রম কাউন্সিলর আব্দুস সালাম বলেন, 'সবাই চেষ্টা করতেছে বৈধ হওয়ার। যদি বৈধ হতে পারে আলহামদুলিল্লাহ। আমার অনুরোধ ছিল যে সকল কোম্পানি যাদের লোক লাগবে তারা এইখান থেকে নিতে পারে।'
সাধারণ ক্ষমায় বৈধতা নিশ্চিতের জন্য প্রবাসীদের চেষ্টাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মিশন কর্মকর্তারা। শ্রমিক সংকটে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো এই সময় চাকরি প্রত্যাশীদের নিয়োগ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার আহ্বান করেন তারা।