বর্ষা মৌসুম শেষ না হতেই ভৈরবের মেঘনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গত রোববার রাত ২ টায় হঠাৎই মেঘনা নদীর- যমুনা ও মেঘনা ডিপোঘাট এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দেয়। যাতে নদী গর্ভে চলে যায় ১৮ ঘর-বাড়ি, দোকানপাট সহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল।
ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জ্বালানী তেল সরবরাহকারী যমুনা-মেঘনা ডিপোঘাট, সার গোডাউন, ২টি রেল সেতু ও ১ টি সড়ক সেতুসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আর এসব স্থাপনা নদীতে চলে গেলে দেশের ২৭টি জেলায় জ্বালানী তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যেতে পারে সিলেট ও চট্টগ্রামের সাথে রেল যোগাযোগ।
গত ২ বছর আগেও ডিপোঘাটের ২০০ মিটার সামনে মেঘনার ভাঙনে বেশ কিছু বসত ঘর ও মিলের মাঠ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ঘটনায় ২ জন মারা যান। স্থানীয়দের স্পষ্ট অভিযোগ ড্রেজারে বালি উত্তোলনের ফলেই দেখা দিচ্ছে ভাঙন। মেঘনা নদী থেকে বালি উত্তোলন দ্রুত বন্ধ করার দাবি তাদের। সাথে নিতে হবে ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ।
এলাকাবাসিদের মধ্যে একজন বলেন, 'ড্রেজার আছে ৩-৪টা । এই ড্রেজার দিয়ে যখন টান দিছে তখন ঘর-বাড়ি, দোকানপাট ভেঙে নদীতে চলে যায়। একই সাথে ৪টা ঘর ভেঙে যায়।'
থাকার কোনো জায়গা নাই। খোলা ময়দানে যা পাইছি তাই নিয়ে থাকতেছি বলেও জানান ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন।
আরো একজন বলেন, 'কোনো কিছু নিয়ে আমরা বের হতে পারিনাই। এখন সরকারের কাছেই আমরা সহায়তা চাই।'
উপজেলা প্রশাসন বলছে, ভাঙ্গন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, সেই সাথে বালু উত্তোলনের কারণে এমন ভাঙ্গন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও সহকারি কমিশনার মো: রেদুয়ান আহমেদ রাফি বলেন, '১৭২ মিটারের মধ্যে ৩৬ মিটার এলাকাতে জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। আর ৭২ ঘন্টার মধ্যে সমস্ত এলাকাতে ১৭২ মিটারই আমরা জিও ব্যাগ দিয়ে কভার করার চেষ্টা করব। ড্রেজারে বালি উত্তোলনের ফলে যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে প্রশাসন সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবে।'
বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় ১৮টি পরিবার এখন বাস্তুহারা জীবন যাপন করছেন। দ্রুত পুনর্বাসনে ব্যবস্থা করার জোর দাবি তাদের।