টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়-সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুহাম্মদ এ. (রুমি) আলী, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মেহরিয়ার এম হাসান এবং বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনোমিস্ট অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন।
এই টাস্কফোর্সে আরেো আছেন জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সাইন্সের ভাইস চ্যান্সেলর ড. এম জুবায়দুর রহমান এবং হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানির পার্টনার সাব্বির আহমেদ, এফসিএ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ টাস্কফোর্স প্রধানত আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য ব্যাংকিং খাতের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি, মন্দ সম্পদ এবং প্রধান ঝুঁকিগুলো নিরূপণ, দুর্বল ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচক পর্যালোচনা, ঋণের প্রকৃত অবস্থা নিরূপণ, প্রভিশন ঘাটতি নিরূপণ, তারল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা, নিট মূলধন নির্ণয়, সম্পদের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মন্দ সম্পদকে পৃথকীকরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এছাড়া টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সংকটকালীন প্রতিঘাত সক্ষমতা অর্জনে ব্যাংকের সুশাসন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ প্রক্রিয়ার আওতায় রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক উন্নয়ন, ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক এবং কর্পোরেট প্রভাব সীমিতকরণ, ব্যাংকের মালিকানা সংস্কার ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রদান, প্রবলেম ব্যাংকের জন্য রিকভারি এবং রেজুলেশন ফ্রেমওয়ার্ক ও সংশ্লিষ্ট গাইডলাইন প্রস্তুতকরণ, দুর্বল ব্যাংকসমূহের জন্য বিভিন্ন নীতিগত ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও এ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টাস্কফোর্স আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন ব্যাংক কোম্পানি আইন, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ইত্যাদি সংস্কার এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, ব্যাংক অধিগ্রহণ, একীভূতকরণ আইন প্রণয়ন, সংস্কার ও যুগোপযোগীকরণের প্রস্তাব প্রদান করবে এবং ব্যাংকিং খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এই টাস্কফোর্সের সার্বিক কার্যাবলী সমন্বয় করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।