একটি সফল অভিযানের পর নাসার বিজ্ঞানীদের এই উচ্ছ্বাস সবার কাছেই কম বেশি পরিচিত। তবে এবারের অভিযানটি বিগত সময়ের তুলনায় একেবারেই আলাদা।
বিলিয়নিয়ার এক উদ্যোক্তা, বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পাইলট ও দুজন স্পেস এক্স কর্মীর মতো অপেশাদার নভোচারীদের নিয়ে যুক্তরাজ্যের ফ্লোরিডায় অবস্থিত কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ছেড়ে গেছে স্পেস এক্সের নভোযান।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে যারা মহাকাশে যেতে চান তাদের সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি নভোচারীদের নতুন পোশাকের একটি ট্রায়াল নেয়া হচ্ছে স্পেস এক্সের এই অভিযানে।
নাসার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ঐ চার নভোচারীকে বহনকারী ‘ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল’-টি উড্ডয়নের প্রায় সাড়ে ৯ মিনিট পর কক্ষপথে পৌঁছায়।
সেখানে জিরো গ্রাভিটি পরীক্ষার পর সাপোর্ট ট্যাংক থেকে আলাদা হয়ে যায় ক্যাপসুলটি। সেখান থেকে সূর্যের আলোয় উদ্ভাসিত পৃথিবীর অপূর্ব এক ছবি পাঠান বোর্ডের সদস্যরা।
এর আগে ৪ বার প্রাইভেট স্পেস মিশনে পাঠানো হয়েছে ক্রু ড্রাগনকে। তবে এবারের অভিযানটি সবচাইতে ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি করছে স্পেস এক্স।
তারা বলছেন, 'ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল' পৃথিবীর চারপাশে ডিম্বাকৃতির একটি কক্ষপথ অনুসরণ করে ঘুরতে থাকবে। এসময় পৃথিবী থেকে মহাকাশ যানটির দূরত্ব ১৯০ কিলোমিটার থেকে ১ হাজার ৪শ' কিলোমিটারের মধ্যে ওঠানামা করবে।
১৯৭২ সালে অ্যাপোলো অভিযানের পর এই প্রথম কোনো নভোচারী মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষপথের এত কাছাকাছি আসতে যাচ্ছে।
অতীতে শুধু উচ্চমানের প্রশিক্ষণ ও সরকার অনুমোদিত নভোচারীদের নিয়ে মহাকাশ অভিযানের আয়োজন করা হত। ২০০০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন নির্মাণের পর ২৭০ জনের মতো নভোচারীকে এই সুযোগ দেয়া হয়। আর বেইজিংয়ের উৎক্ষেপিত তিয়াংগং স্পেস স্টেশনে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে ১৬ জন চীনা নভোচারীর।
এর আগে, ২০২৬ সালের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে যাত্রীবিহীন নভোযান স্টারশিপ পাঠানোর ঘোষণা দেয় স্পেস এক্স। নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠারটির সিইও ইলন মাস্ক। মঙ্গলগ্রহে স্টারশিপের অবতরণ সক্ষমতা যাচাই করতে চালানো হবে এই পরীক্ষা। পরীক্ষা সফল হলে ২০২৮ সাল নাগাদ মঙ্গলগ্রহে নভোচারীও পাঠাবে স্পেস এক্স।