বেইজিংয়ে শুরু হওয়া তিনদিনের চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা বিষয়ক সম্মেলন রূপ নিয়েছে মিলন মেলায়। যেখানে জড়ো হয়েছেন আফ্রিকার ৫০টির বেশি দেশের সরকার প্রধান ও প্রতিনিধিরা। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার চীন-আফ্রিকা সহযোগিতার তিন বছরের রূপরেখাও নির্ধারণ হয়।
আফ্রিকার সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর অংশ হিসেবে নতুন করে ৫১ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এছাড়া আফ্রিকার দেশে অন্তত ১০ লাখ কর্মসংস্থার সৃষ্টি ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এমনকি চীন ও আফ্রিকা ছাড়া বিশ্বব্যাপী চলমান আধুনিকায়ন অগ্রযাত্রা অসম্ভব বলেও দাবি করেন জিনপিং।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, ‘আগামী তিন বছর চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা আরও গভীর হবে। সেই সঙ্গে বেইজিংকে গ্লোবাল সাউথের পছন্দের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এগিয়ে নিতে চাই। আধুনিকায়নের এ অগ্রযাত্রায় ১০টি অংশীদারিত্বমূলক পদক্ষেপ নিয়ে চীন আফ্রিকার সাথে কাজ করবে।’
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন-আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। আফ্রিকার দেশগুলোর এক-চতুর্থাংশ খনিজ, জ্বালানি এবং ধাতু পণ্যই চীনের বাজারে রপ্তানি হয়। বিপরীতে সংকটে ডুবে থাকা আফ্রিকার দেশগুলোতে শত শত কোটি ডলার ঋণ দিয়ে যাচ্ছে বেইজিং।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক নানা দ্বন্দ্বের সুযোগে আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তারে চীন উঠে পড়ে লেগেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি আফ্রিকার দেশগুলোকে বিপুল পরিমাণ ঋণের ফাঁদে ফেলে অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের পথে চীন এগুচ্ছে কি-না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।