বিদেশে এখন
0

কামালা জয় পেলে যুক্তরাষ্ট্রে আবারও অর্থনৈতিক মন্দা হবে: ট্রাম্প

নির্বাচিত হলে ধনীদের জন্য কর হার ২৮ শতাংশ নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কামালা হ্যারিস। যদিও বাইডেনের প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে এই হার প্রায় সাড়ে ১১ শতাংশ কম। এদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের দাবি, কামালা জয় পেলে যুক্তরাষ্ট্রে আবারও ফিরে আসবে অর্থনৈতিক মন্দা।

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে জোর প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। জনসভায় বড় দুই দলের প্রার্থী তুলে ধরছেন নির্বাচনী ইশতেহার। পাশাপাশি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে একে অপরের বিষেদাগারে ব্যস্ত কামালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রার্থীদের নিয়ে নিয়মিতই জনমত জরিপ তুলে ধরছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিস্ট। গেল ২০ জুলাই ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর থেকেই বিভিন্ন জরিপে এগিয়ে আছেন কামালা হ্যারিস। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কামালা ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছেন তিন শতাংশে। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত পরিস্কার ব্যবধানে এগিয়ে আছে নীল শিবির।

এই যখন অবস্থা তখন, নিউ হ্যাম্পশায়ারে এক নির্বাচনী প্রচারণা সভায় নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন কামলা। জানান, নির্বাচিত হলে ধনীদের জন্য ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স নির্ধারণ করা হবে ২৮ শতাংশ। আর নতুন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য কর কর্তন করা হবে ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত।

কামালা হ্যারিস বলেন, 'যারা সবচেয়ে বেশি ভোগ করছে, অধিকাংশ সময় তারাই সবচেয়ে কম কর দিচ্ছেন। আমাদের শিক্ষক, নার্স এমনকি দমকলকর্মীদের চেয়েও কম। এটি ঠিক না। তাই আমি ধনকুবেরদের কাছ থেকে করের ন্যায্য অংশ কর হিসেবে কর্তন সমর্থন করি।'

বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে বছরে ১০ লাখ ডলারের বেশি উপার্জনকারী ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারণ করেছিলেন প্রায় ৪০ শতাংশ কর। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে বাইডেনের অর্থনৈতিক নীতি থেকে সরে আসতে চাইছেন কামালা। মধ্যবিত্ত ও কম আয়ের মানুষদের জন্যও দেয়া হচ্ছে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি। অর্থনীতির মারপ্যাঁচে সুবিধা দেয়া হচ্ছে উচ্চবিত্তদেরও। তাই কথার ফুলঝুড়িতে কামালা সমর্থন পাচ্ছেন প্রায় সব শ্রেণির।

এদিকে, ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, কামালা জয় পেলে ফের মন্দার কবলে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'কামালা জয় পেলে দেশে মন্দা ফিরে আসতে পারে। এটি ১৯২৯ সালের মহামন্দাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। আমার ধারণা, তিনি জয়ী হলে এমনটাই হবে।'

এদিকে মাইক্রোফোন নিয়ে জটিলতা শেষ হওয়ায় আগামী ১০ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক অংশ নিচ্ছেন দুই প্রার্থী। এক প্রার্থী কথা বলার সময়, অপর প্রার্থীর মাইক্রোফোন বন্ধ থাকবে, এই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন কামালা হ্যারিস। এর আগে, ট্রাম্পের মিথ্যাচার মোকাবিলায় ৯০ মিনিটের বিতর্কের পুরোটা সময় মাইক্রোফোন চালু রাখার দাবি জানিয়েছিলেন কামালা।

এসএস