যার অংশ হিসেবে প্রথমেই পুরো আর্থিক বাজারে একক ডলারের দর নির্ধারণ করা হয়। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত দরের চেয়ে কিছুটা বেশি ছিল বাজারের বৈদেশিক মুদ্রার দর।
ফলে, সরকারি পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর নির্ভর করে থাকতো সরকারি আমদানি খাতগুলো। একক মূল্য নির্ধারণের ফলে, সরকারি আমদানির ডলারের চাহিদাপত্র এখন ব্যাংকমুখী।
এদিকে, রেমিট্যান্সের কারণে জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টে বাজারে বেড়েছে ডলার সরবরাহ। ফলে আমদানির জন্য ডলারের চাহিদা এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ পূরণ হচ্ছে আর্থিকবাজার থেকে। যা রিজার্ভের জন্য ইতিবাচক বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে গত আগস্টের তুলনায় ৩৯% বেশি রেমিট্যান্স এসেছে এবারের আগস্টে। জুলাইয়ের আন্দোলনে আর্থিক খাতে বেশ কিছুটা অস্থিরতার প্রভাবে জুলাই শেষে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার। যা আগস্টে ১৬% বেড়ে দাড়িয়েছে ২২২ কোটি ডলারে। গত এক মাসে ব্যাংক খাতের সংস্কার মানুষকে উৎসাহিত করেছে, জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।
এদিকে রিজার্ভ ঠিক রাখতে ও আর্থিক স্থিতিশীলতা আনতে দাতা সংস্থার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা পর্যায়ে বৈঠক চলছে। আজ (রোববার, ১ সেপ্টেম্বর) আইএমএফএর কান্ট্রি ডিরেক্টরের জয়েন্দু দে'র সঙ্গে প্রায় ৩ বিলিয়ন ঋণের অঙ্ক বাড়ানোর সম্ভাব্যতা ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকে।
অন্যদিকে চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি ডলার। যা জুলাই মাসের তুলনায় ৩১ কোটি ডলার বেশি। এই মাসের রেমিট্যান্স গত বছরের আগস্টের তুলনায় ৬৩ কোটি ডলার বেশি। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, ব্যাংকখাতে যে সংস্কারগুলো চলছে তাতে মানুষের আস্থা ফিরবে, রেমিট্যান্স বাড়বে। এছাড়াও রেমিট্যান্স প্রবাহ ঠিক থাকলে আমদানি পণ্যের মূল্য পরিশোধে রিজার্ভের ওপর নির্ভর করতে হবে না বলেও জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গতি ফিরেছে রেমিট্যান্সে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, আগস্টে যে রেমিট্যান্স এসেছে তা গত বছরের আগস্টের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি।