চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভোগ্যপণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে যোগান বেড়েছে পেঁয়াজের। ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদানি বেড়েছে চীন, পাকিস্তান ও মিশরের পেঁয়াজের। ফলে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে দাম।
বাজারে দেশি ও আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকা, চীন ও মিশরের পেঁয়াজের দর ৭০ থেকে ৭৫ টাকা আর পাকিস্তানি পেঁয়াজ পাইকারিতে মিলছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। যদিও গেল সপ্তাহে বৃহত্তর চট্টগ্রামে আকস্মিক বন্যায় পরিবহন সংকটে পেঁয়াজের দাম একলাফে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়।
এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজে আমদানি খরচ বেশি হওয়ায় বিকল্প দেশ হিসেবে চীন, পাকিস্তান ও মিশর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২ লাখ ৭০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে ব্যববায়ীরা। দ্রুত সময়ে এসব পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম আরও কমে আসবে বলছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘এখন সরবরাহ আগের তুলনায় অনেক ভালো। বাজারে মিশর, পাকিস্তান ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ রয়েছে।’
বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও সপ্তাহের শুরুতে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে রসুনের দর। তবে স্থিতিশীল রয়েছে আদা ও ডালজাতীয়র পণ্যের দাম। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন এতোদিন বড় বড় গ্রুপ গুলো পণ্য আমদানির সুযোগ পেত। সরকার পরিবর্তনের পর বড়গ্রুপ গুলোর আধিপত্য কিছুটা কমেছে। এক্ষেত্রে ছোট ব্যবসায়ীরা আমদানির সুযোগ পেলে ভোগ্য পণ্যের দাম আরও কমে আসবে দাবি তাদের।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, 'সড়ক দিয়ে যেসব পণ্য আসতো সেগুলো কুমিল্লা ও ফেনীর বন্যার কারণে আসতে পারিনি আগে। তবে পানি কমতে শুরু করাই পণ্য আসা শুরু করেছে। সরবরাহ থাকায় পণ্যের দাম বাজারে কমতে শুরু করেছে।'
এদিকে, দাম না বাড়লেও মসলাজাতীয় পণ্যের বেচাবিক্রি অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে দাবি ব্যবসায়ীদের। যদিও বাজারে এখন পর্যন্ত মজুদ থাকা পণ্য চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলছেন তারা।