আজ (বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে নিজের নিরাপত্তা জনিত বিষয়ে আলোচনা শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন মহল থেকে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে।’
সোহেল তাজ বলেন, 'অনেক আশা নিয়ে ছাত্র জনতা বাংলাদেশে একটি পরিবর্তনের জন্য অনেক রক্তের বিনিময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসেছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশাও বেশি।'
আমরা চাই একটি গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধশালী প্রগতিশীল বাংলাদেশ। আমাদের বংশধর, নাতি- নাতনি সবাই যাতে একটি সুন্দর বাংলাদেশ পাই। সেই প্রয়াসেই এতো মানুষের আত্মত্যাগ, ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থান বলেও জানান তিনি।
রাজনীতিতে ফিরে আসা প্রসঙ্গেও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ স্পষ্টতই জানান, রাজনীতিতে আর ফিরবেন না। তিনি বলেন, 'দেশের এই নোংরা, পচা, গলিত রাজনীতিতে আর ফিরব না।'
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সরকারের সাফল্য কামনা করছি। আমি মনে করি যে কোনো ভালো কাজ কিংবা রাষ্ট্র সংস্কারের কাজের জন্য আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি করা বড় একটি অংশ। সুশাসন পেতে হলে আইনের শাসন জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ নাগরিক। আমার অবস্থান থেকে আমি সবসময় প্রতিবাদ করে এসেছি। হত্যা, গুম এবং মানুষের অধিকার বিলুপ্ত করা আমি কখনোই সমর্থন করিনি।'
সাংবাদিকদের সোহেল তাজ বলেন, '২০১৯ সালে আমার এক ভাগনেকে অপহরণ করে আয়নাঘরে ১১ দিন রাখা হয়েছিল। আমি সে সময় গুম-খুন এর প্রতিবাদ করেছিলাম।'
অনেক কায়দা-কষ্ট করে সে সময় আমার ভাগনেকে উদ্ধার করে এনেছিলাম। আমি বারবার বলেছিলাম এরকম ঘটনা ঠিক না। এমন ঘটনা বাংলাদেশের যেন আর না হয় বলেও জানান তিনি।