নিজেদের জাতীয় সম্মেলন শেষে অনেকটাই ফুরফুরে মেজাজে ডেমোক্র্যাট শিবির। সম্মেলনে তাদের দলে যোগ দিয়েছে প্রায় দুই লাখ নতুন স্বেচ্ছাসেবক, এমনকি ট্রাম্পের দল ছেড়ে কামালার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন অনেক সমর্থক। প্রচারণা তহবিলে দুই হাত উজার করে দান করেছেন সবাই। চারদিনের সম্মেলনে সংগ্রহ হয়েছে আট কোটি মার্কিন ডলারের ওপর। এখন পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫৪ কোটি মার্কিন ডলার।
এদিকে, ডেমোক্র্যাটদের সম্মেলনের পর অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছেন ট্রাম্প। তবে, কথার ফুলঝুড়িতে সরগরম রাখার চেষ্টা করছেন রিপাবলিকান শিবিরকে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন, যুদ্ধ ও সামগ্রিক অর্থনীতি অব্যবস্থাপনার অভিযোগ চাপিয়েছেন কামালার ঘাড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কামালাকে কমিউনিস্ট ও মার্কসবাদী বলেও আক্রমণ করছেন ট্রাম্প। সুইং স্টেটের ভোট কাড়তে প্রচারণায় এসব ইস্যুকে হাতিয়ার বানানোর পরিকল্পনা সাজিয়েছেন রিপাবলিকানরা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'সম্মেলনের ভাষণে কামালা ২১ বার আমার নাম উচ্চারণ করেছেন। তবে, একবারের জন্যও সীমান্ত ইস্যু, মুদ্রাস্ফীতি ও মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে একটি শব্দও বলেননি। তিনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ছাড়া আর কিছুই করেননি।'
তবে, প্রায় সব জরিপেই এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। এমনকি স্যুইং স্টেটেও তার পাল্লা ভারী। মার্কিন জরিপ সংস্থা ফাইভ থার্টি এইটের সবশেষ সমীক্ষায় সাড়ে তিন পয়েন্টে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন কামালা হ্যারিস। তরুণ, নারী ও কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের পাশাপাশি কামালাকে সমর্থন জানাচ্ছেন শেতাঙ্গরাও। অন্যদিকে অর্থনীতি ও যুদ্ধ ইস্যুতে ভোটারদের পছন্দের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দুই দলেরই প্রচারণার তালিকায় এবার স্যুইং স্টেট। চলতি সপ্তাহে উইসকনসিন, মিশিগান এবং পেনসিলভেনিয়ায় সমাবেশ করবে রিপাবলিকানরা। সেখান থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সম্মেলনে ভাষণ দেবেন ট্রাম্প। অন্যদিকে, রানিং মেট টিম ওয়ালজকে সঙ্গে নিয়ে জর্জিয়ায় বাস সফর শুরু করছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিস। সাভানা এলাকার সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে তার এই সফর।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১০ সপ্তাহ। দুই প্রার্থীর মধ্যে সরাসরি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ। এর আগেই নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিস।