সার্বিকভাবে বন্যার পানি কিছুটা নামলেও এখনও কমেনি দুর্ভোগ। অন্যদিকে, বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে কুমিল্লা ও নোয়াখালীর নতুন নতুন এলাকা। আগ্রাসী রুপে এখনও বইছে ঢলের স্রোত। সড়ক-মহাসড়ক ডুবে পানির প্রবাহ ছুটছে ভাটির দিকে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
বন্যা কবলতি এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রি থাকলেও নৌকার অভাবে দুর্গতদের কাছে পৌছানো যাচ্ছে না। এতে বাড়ছে দুর্ভোগের মাত্রা।
কুমিল্লার এক বাসিন্দা জানান, বন্যায় ঘরের দলিলপত্র থেকে শুরু আসবাবপত্র সবই বন্যায় ভেসে গেছে। আরেকজন জানান, বাড়ি ঘর পানির নীচে চলে গেছে।
গোমতীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়া কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এতে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে ভাটি অঞ্চলের উপজেলাগুলো। এর মধ্যে বেশি আক্রান্ত নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ, লাকসান উপজেলার নিম্নাঞ্চল।
সবচেয়ে ভয়াবহ বুড়িচং উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পূর্ণমতি, বাকশিমুল রাজাপুর হরিপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। বাড়ছে শিশুখাদ্য ও বিশুদ্ধপানির সংকট। বন্যার কবলে ১৩ উপজেলার প্রায় ১৩ লাখ মানুষ।
দু'দিন বন্ধ থাকার পর ফের ভারি বর্ষণের কবলে নোয়াখালী। উজান থেকে এখনও নামছে ঢলের জল। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে বাড়ছে দুর্গতদের ভিড়।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মূল সড়ক থেকে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। ঘর বাড়িতে যাওয়া শুরু করেছে মানুষ। আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে যান চলাচল। খুলছে হাট-বাজারের দোকানপাট। তবে, অপেক্ষাকৃত জেলার ভাটি অঞ্চল এখনও প্লাবিত। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারসহ মোমবাতির জন্য হাহাকার বানভাসিদের।
ফেনী শহর থেকেও নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। জেলা সদরের নেমে যাওয়া পানিতে দুর্ভোগ বাড়ছে দাগনভূইয়া ও সোনাগাজী বাসীর।
তবে, ত্রিপুরা লাগোয়া এলাকাগুলোতে এখনও বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। ব্যাহত হচ্ছে ত্রাণ কার্যক্রম। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী সদস্যরা। বাড়ছে পানিবাহিত রোগ।