মাসখানেক পর শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। দীর্ঘ সময় পর দেখা হবে সহপাঠীদের সঙ্গে। তাই সকাল থেকেই চট্টগ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোতে বাড়তি উৎসাহ নিয়ে আসতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। জেলার ২ হাজার ৯৯৭টি সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭৫১টি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুল ও প্রায় ১০টি কলেজে শুরু হয় শ্রেণি কার্যক্রম। তবে বৃষ্টির কারণে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি ছিল কম। নতুন করে ক্লাসে ফিরে নতুন উদ্যমে পড়াশোনা আবার শুরু করার কথা বলছেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় শিক্ষকদের মাঝেও।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘একমাস পড়ালেখা থমকে গিয়েছিল। আজকে আবার নতুন করে শুরু করা হয়েছে।’
বগুড়ার স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। উৎসবমুখর পরিবেশে ক্লাস শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতেও দেখা যায়। স্কুল বন্ধ থাকায় লেখাপড়ায় অনেকটাই পিছিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন শিক্ষার্থীরা। আর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়া হবে বলেন শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীদের আরেকজন বলেন, ‘আমাদের স্কুল অনেকদিন বন্ধ ছিল। এতে আমাদের অনেক ঘাটতি হয়ে গিয়েছে। এখন স্কুল খুলেছে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করলে এই ঘাটতি পূরণ হবে।
এদিকে, বরিশালের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত ছিল কম। অষ্টম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। তবে তৃতীয় থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত দেখা গেছে চার ভাগের একভাগ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষের আসে। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা শিক্ষকদের। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে পড়াশোনায় যে ঘাটতি হয়েছে তা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পুষিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলছেন তারা।
রংপুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেড়েছে উপস্থিতি। তবে গ্রামাঞ্চলের মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজগুলোয় শিক্ষার্থী উপস্থিতি একেবারেই কম। দফায় দফায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধে শিক্ষার স্বাভাবিক ছন্দপতনের সঙ্গে গ্রাম পর্যায়ে বাড়ছে ঝরে পড়ার হার।
দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গত ১৭ জুলাই থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।