প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ব্রাজিলের বিচারক আলেকজান্দ্রে ডি মোরেস তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকরের নির্দেশনা দিয়ে সেন্সরশিপ অর্ডার দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতেই দেশটিতে কার্যক্রম বন্ধের কথা জানিয়েছে ইলন মাস্ক মালিকানাধীন প্লাটফর্মটি।
অন্যদিকে এক্সের দাবি, প্লাটফর্ম থেকে কিছু কনটেন্ট সরিয়ে নেয়ার আইনি নির্দেশ অনুসরণের জন্য কোম্পানির একজন আইনি প্রতিনিধিকে মোরেস গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি মোরেসের স্বাক্ষরিত একটি নথির ছবি প্রকাশ করেছে। যেখানে নির্দেশনা না মানলে দৈনিক ২০ হাজার রেইস (৩ হাজার ৬৫৩ ডলার) জরিমানা করার কথা বলা হয়।
পাশাপাশি এক্সের প্রতিনিধি র্যাচেল নোভা কনসিকাওকে গ্রেপ্তারের জন্য ডিক্রি আরোপের কথাও জানানো হয়েছে। এক্স জানায়, আমাদের কর্মীর সুরক্ষা নিশ্চিতে তাৎক্ষণিকভাবে ব্রাজিলে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়াও এক্স যে নথির ছবি প্রকাশ করেছে সেটির সত্যতাও নিশ্চিত করা হয়নি। তবে ব্রাজিলের ব্যবহারকারীরা এখনো এক্স ব্যবহার করতে পারছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে চলতি বছরের শুরুতে, মোরেস বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে সময় এক তদন্তের মাধ্যমে মোরেস ডিজিটাল মিলিশিয়াদের প্রতিহতে এ নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ গ্রুপটি ভুয়া সংবাদ ও ঘৃণাত্মক তথ্য ছড়ানোর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ উঠেছিল।
চলতি বছরের শুরুতে এক্সে ব্লক করা অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালুর ঘোষণা দেন ইলন মাস্ক। এরপর ব্রাজিলের এ বিচারক মাস্কের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। এছাড়াও এক্সের বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে জানিয়েছেন মাস্ক।