বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন বৈদেশিক মিশন নিরাপত্তা জোরদারের জন্য বারবার অনুরোধ করে। সে সময় পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী না থাকায় সেনাবাহিনীর কাছে তারা এই নিরাপত্তা প্রদানের জন্য সহায়তা চায়।
এতে আরও বলা হয়, ঢাকার কূটনৈতিক এলাকা ও দূতাবাসের নিরাপত্তার জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধে শুধুমাত্র অসামরিক সদস্যদেরকে ঢাকা সেনানিবাসসহ অন্যান্য সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়। পাশাপাশি কিছু সংখ্যক সদস্য নিজ নিজ কনস্যুলেট ভবন এবং বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করায় এই স্থানগুলোতে নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত কিছু সংখ্যক রাশিয়ান বিশেষজ্ঞকেও নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়। এবিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সকল তথ্য প্রদান করা হয়েছে। তবে বর্তমানে সেনানিবাসের ভেতরে বিদেশি মিশনের কোনো ব্যক্তি অবস্থান করছে না।
এক্ষেত্রে গুজবে কান না দিতেও সকলকে অনুরোধ জানানো হয়। —প্রেস বিজ্ঞপ্তি