গোয়েন লুইস বলেন, 'তদন্ত করার জন্য শেখ হাসিনা জাতিসংঘকে যুক্ত করতে চেয়েছিল। সেটা ছিল জাতীয় পর্যায়ের তদন্ত কিন্তু জাতিসংঘের টি আলাদা। এটি জাতিসংঘের নেতৃত্বে হবে। তদন্ত টি হবে পুরোপুরি নিরপেক্ষ ও নির্ভরযোগ্য। জাতিসংঘের অর্থায়নে এ তদন্তটি হবে।'
আগামী সপ্তাহেই জাতিসংঘের টেকনিক্যাল টিম আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'সামনের দিনগুলোতে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে চাই। বাংলাদেশে আমাদের বিভিন্ন এজেন্সি আছে। যারা উন্নয়ন, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ড. ইউনূসের সরকারকে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারি সেসব নিয়েও কথা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'গতকাল ড. ইউনূসের সাথে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের কথা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে একটি টেকনিক্যাল টিম আসবে। তারা প্রাথমিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং শুরু করবে। এরপরে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হবে।'
সৌজন্য সাক্ষাত শেষে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের সাথে সাথে একইভাবে কাজ করে যেতে চাই। রুপপুর পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা দেরি হতে পারে, তবে তা কঠিন কিছু নয়।'
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সাংবাদিকদের বলেন, 'এটা আমাদের প্রথম মিটিং ছিলো। আমরা মূলত ভিউ এক্সচেঞ্জ করেছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা হয়েছে। কে ক্ষমতায় আছে বা না আছে সেটা দেখে বাংলাদেশকে জাপান সহযোগিতা করেনি।'
বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগি হিসেবে জাপান গেল ৫০ বছর হতেই সবসময় কাজ করে গেছে, উল্লেখ করেন কিমিনোরি। ড. ইউনূসের সরকারের সাথেও জাপান থাকবে বলে জানান তিনি। তবে এই সাক্ষাতে বড় প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয়নি বলে জানান তিনি।