পেসার মানেই ইনজুরির বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ। পেসারদের ক্ষেত্রে অনেকটাই লক্ষণীয় নিজের সেরা ছন্দে থাকলে, তখনই হুট করে ছোবল দিয়ে বসে ইনজুরি। ব্যতিক্রম হয়নি বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার ইবাদত হোসেনের সঙ্গেও। যখন ভক্ত সমর্থকরা এক আকাশ স্বপ্ন দেখছিলে সিলেটেরই পেসারকে নিয়ে। তখনই ইনজুরির করাল থাবায় লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে যান মাঠের বাইরে। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সবশেষ ইবাদতকে দেখা গেছে ২০২৩ সালের ৮ জুলাই। এ বছর পেরিয়েছে। এখনও আছেন সেই পুনর্বাসনের প্রক্রিয়ায়।
ইবাদত বলেন, 'বড় সার্জারি হওয়ায় এতো সময় লাগছে যে এটা আসলে খুবই কষ্টদায়ক। আর এই সময়টা অনেক কষ্টের, কারণ যারা করেছে এটা তারাই বোঝে। আমি কয়েকদিন আগে বাংলা টাইগার্সে থাকতে মুশফিক ভাইয়ের সাথে কথা বলেছিলাম, তিনিও বলেছেন যে, রিহ্যাব আমিও করেছি, এটা যারা করে তারাই বোঝে। তবে, এখন যে অবস্থায় আছি এখন অনেক ভালো লাগছে।'
এই যে, পাকিস্তান সিরিজ থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ ব্যস্ততা শুরু হবে টাইগারদের। নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তান পর্ব শেষে ভারতে উড়াল দিতে হবে। আর সেই সিরিজ দিয়েই ফেরার আশা ইবাদতের।
তিনি বলেন, 'আশা করবো যেন ইন্ডিয়ার সাথে খেলতে পারি। টেস্ট বা কী ফরম্যাট দিয়ে ফেরাটা আমার জন্য ভালো হবে। ইন্ডিয়া সিরিজের আগে যদি নিজেদের মধ্যে চারদিনের একটা ম্যাচ খেলতে পারি, তাহলে আমি আমাকে জাজ করতে পারবো। বুঝতে পারবো যে আমি কতটুকু ফিট আছি।'
দীর্ঘদিন বাইরে থাকায় ইবাদতের গতির বাউন্স আর আগ্রাসন আগের মতো না থাকাটাই স্বাভাবিক। ব্যাপারটি মানছেন পেসার নিজেও, তাই কাজ করছেন বোলিংয়ের ছন্দ খুঁজে পেতে।