ইসরাইলের বিরুদ্ধে একযোগে হুঙ্কার দিচ্ছে ইরান ও তাদের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতিরা। প্রতিশোধের নেশায় জলতে থাকা এসব মিত্ররা আচমকা কখন হামলা করে বসে, সেই ভয়ে ধুকছে তেল আবিব।
এ অবস্থায় সম্ভাব্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ মোকাবিলায় সজাগ দৃষ্টি ইসরাইলের। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ব্যবস্থা। এমনকি হামলায় আহতদের বাঁচানোর লক্ষ্যে মজুদ করা হচ্ছে ডোনারদের কাছ থেকে নেয়া রক্ত। জরুরি সময়ে রক্ত সংকট মোকাবিলায় এই উদ্যোগ ইসরাইলের। যেখানে স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে ছুটে আসছেন বহু মানুষ।
রক্ত দিতে আসা একজন বলেন, ‘সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ সেনাদের জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। এমনকি সাধারণ মানুষেরও।’
আরেকজন বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত আছি। এখানে আহতদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। মূলত এখানকার বাসিন্দাদের জরুরি সেবায় এটি প্রস্তুত করা হয়েছে।’
এখানেই শেষ না, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও, গত ১০ দিন ধরে জরুরি ভিত্তিতে সেই গতি আরও বাড়ানো হচ্ছে। বলতে গেলে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এমনকি যেসব শিল্প কারখানায় বিপজ্জনক উপাদান আছে, সেগুলোও সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বোম্ব শেল্টার ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখছে শহর কর্তৃপক্ষ। হামলা হতে পারে এমন এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে সাইরেন এবং সম্প্রচার সতর্কতাও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনে হাজার হাজার বাসিন্দার জন্য পর্যাপ্ত জায়গাসহ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে বেশ কয়েকটি ভূগর্ভস্থ পার্কিং লট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি জানি যে ইসরাইলের নাগরিকরা সতর্ক রয়েছেন। আমি আপনাদের ধৈর্য্য ধরার ও শান্ত থাকার আহ্বান জানাই। ভয় পাবেন না। আমরা হামলা মোকাবিলায় প্রতিরক্ষাসহ সব দিক থেকে প্রস্তুত আছি।’
গেল মাসে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসরাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকের হত্যাকাণ্ড ঘিরেই মূলত মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুদ্ধ আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সুযোগের অপেক্ষায় আছে ইরান ও তাদের মিত্ররা।