সেখানে তাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, অন্য দুই বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
ড. ইউনূস বলেন, ‘পুরনোদের বাদ দাও, তাদের চিন্তা দিয়ে হবে না। তোমাদের মধ্যে যে শক্তি আছে, যে সৃজনশীলতা আছে, তাকে কাজে লাগাতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত তিনদিন ধরে দেশব্যাপী চলা সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও বিশৃঙ্খলার বিষয়ে খোঁজ-খবর পেয়েছেন বলে জানান ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘এগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ। আমাদের যে যাত্রা, তারা এর শত্রু। আমাদের কাজ রক্ষা করা। প্রতিটি মানুষ আমাদের ভাই। আমাদের কাজ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা আমাদের প্রথম কাজ। এটা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা অগ্রসর হতে পারব না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে যাওয়া আবু সাঈদকে স্মরণ করে এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ড. ইউনূস বলেন, 'আজকে আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে আমাদের। যে আবু সাঈদের ছবি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। কী অবিশ্বাস্য এক সাহসী যুবক! বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তারপর থেকে আর কোনো যুবক-যুবতী হার মানেনি, সামনে এগিয়ে গেছে। তারা বলেছে, যত গুলি মারতে পারো মারো, আমরা আছি। যার কারণে এই আন্দোলন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে গেছে, এবং বাংলাদেশে দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করেছে।'
তিনি বলেন, 'শুধু স্বাধীনতা রক্ষা করা নয়। এই স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছাতে হবে। তা নাহলে এই স্বাধীনতার কোনো দাম নেই। এই স্বাধীনতা প্রতিটি ঘরে পৌঁছানোই আমাদের প্রতিজ্ঞা। মানুষ যেন জানে, যে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অর্থ হলো তার নিজের পরিবর্তন, ব্যক্তির পরিবর্তন নয়, সুযোগের পরিবর্তন, তার ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের পরিবর্তন।