অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান জানানো হয় ব্রিফিংয়ে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সংযম দেখানোয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
কোটা সংস্কার দাবিতে এক মাসব্যাপী চলা আন্দোলনে হতাহত হন বহু মানুষ। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর শুরু হয় সহিংসতা। পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে সরে আসার আহ্বান জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের উদ্ভুত পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘ঘোষণাপত্রে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং দেশ ছেড়েছেন। সতর্কতার সঙ্গে আমরা বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। গত কয়েক সপ্তাহে অনেক প্রাণ ঝড়েছে এবং আগামী দিনে আমরা শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন নিয়ে মিলার বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানাই এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের আইন অনুসারে যেকোনও পরিবর্তনের আহ্বান জানাই।’
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন এবং দেশটিতে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের উদ্যোগ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আমরা চাই বাংলাদেশের মানুষ তাদের সরকারের ব্যাপারে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ সময় তিনি গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হতাহতের ঘটনায় গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।