বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল নিজের প্রতিভা দিয়ে আপন আলোয় উজ্জ্বল এই ক্রীড়া সংগঠক। অল্প বয়সেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিতি পান শেখ কামাল। খেলাধুলায় তার নিবিড় সম্পৃক্ততার মাধ্যমে আবাহনী ক্লাব প্রতিষ্ঠা পায়। যা বর্তমানে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোর একটি। ক্রীড়াবিদদের মতে, ফুটবলের আধুকিকায়নে বড় ভূমিকা রেখেছে পুরনো এই ক্লাব। যেটির ইতিবাচক প্রভাব পড়ে দেশের সকল স্তরের খেলায়।
ক্রিকেট-ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলায় শেখ কামালের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সংগঠক হিসেবে আবির্ভূত হয়ে ক্রীড়াঙ্গনকে আধুনিকতার ছোঁয়া দেন। এ কারণে তাকে, আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের রূপকার বলা হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করে অমর হয়ে আছেন শেখ কামাল। ক্ষণজন্মা এই ক্রীড়া সংগঠকের সম্মানে প্রতিবছর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার যৌথ উদ্যোগে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার দেয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও ক্রীড়াবিদ, সংগঠক ও প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে সম্মাননা।
চলতি বছর ১০জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ছাড়াও দু'টি প্রতিষ্ঠান পেতে যাচ্ছেন পুরস্কার। এর মধ্যে আজীবন সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন সত্তর দশকের তারকা ক্রিকেটার তানভীর মাজহার তান্না। ক্রিকেটার হলেও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার ছিলেন বর্ষীয়ান এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। ক্রীড়াবিদ বিভাগে পুরস্কার উঠবে তিনজনের হাতে। এই তালিকায় সাবেক ভারোত্তোলক ফিরোজা খাতুনের সাথে আছে সাঁতারু মাহফিজুরের নাম। তাছাড়া শ্যুটার শাকিলও পেতে যাচ্ছেন এই পুরস্কার।
উদীয়মান ক্রীড়াবিদের পুরস্কার যাবে ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয় আর স্প্রিন্টার জহিরের হাতে। সংগঠক হিসেবে সম্মাননা পাবেন কলাবাগান ক্লাবের আতিকুল হাবিব আর সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন। এছাড়া একজন সাংবাদিক ও ক্রীড়া ধারাভাষ্যকারের পাশাপাশি শেখ কামাল ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার পেতে যাচ্ছে টেনিস ফেডারেশন ও একটি পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান।