ইউরোপিয়ান ফুটবলে আরও একটি নতুন মৌসুম শুরু হবার অপেক্ষায়। গ্রীষ্মকালীন বিরতির পুরোটা সময় সবাই ব্যস্ত ছিলো কোপা আমেরিকা ও ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে। আর এখন চলছে অলিম্পিক গেমস। তাই সেসব দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড় এখনও ক্লাবে এসে যোগ দেননি, যদিও ক্লাবগুলো তাদের অ্যাকাডেমি ও বাকি খেলোয়াড় দিয়েই প্রাক-মৌসুম নিয়ে ব্যস্ত।
তবে মাঝের দুই মাসে বিশ্রাম নেই দলগুলোর। বড় বড় ক্লাবগুলো এই মুহূর্তে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিতের ব্যস্ত সূচি পার করছে। পরের মৌসুমের প্রস্তুতি, ক্লাবের আয় ও ব্র্যান্ডিং ভাবনা থেকে এ সময়ে একাধিক ম্যাচ খেলে থাকে বড় ক্লাবগুলো, যা গত কয়েক মৌসুমে অনেক বেশি বেড়েছে।
এবারের প্রাক–মৌসুমেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে ৩টি করে ম্যাচ খেলতে গেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। আর মাত্র এই ৩টি প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য কার্লো এনচেলেত্তির দল বিমানপথে পাড়ি দেবে প্রায় ১৫ হাজার মাইল দূরত্ব।
২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ, সিরি আ ও লিগ ওয়ানের শুরু হবে চলতি মাসের ১৭ তারিখে। আর লা লিগা, ফিরবে এ মাসের ১৫ তারিখে।
সন্দেহাতীতভাবেই ক্লাব পর্যায়ে সবচেয়ে বড় দ্বৈরথ এল ক্লাসিকোর। লা লিগায় প্রতি মৌসুমে অন্তত দুই এল ক্লাসিকোর দেখা মেলে। এর বাইরে বিভিন্ন কাপ টুর্নামেন্টেও দেখা হয়ে যায় রিয়াল-বার্সার। তবে এবার মৌসুম শুরুর আগেই দেখা হয়ে গেলো দু'দলের।
এলক্লাসিকোর ভেন্যু যখন যুক্তরাষ্ট্রে, তখন জয় যেন বার্সার কপালেই লিখা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। মৌসুমের প্রথম দেখাতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে দিছেছে ২-১ গোলের ব্যবধানে। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে দিয়েছে ২-১ গোলের ব্যবধানে।
ম্যাচ হারলেও মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েই নিউ জার্সি ছেড়েছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। শুধুমাত্র এই এল ক্লাসিকো খেলেই দল দুটির অ্যাকাউন্টে গেছে ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার করে।
এছাড়াও প্রি সিজনের প্রথম ম্যাচেও শিকাগোতে এসি মিলানের বিপক্ষে মাদ্রিদ হেরেছিলো ১-০ গোলে। সে ম্যাচ থেকে তারা পকেটে পুরেছে ৪ মিলিয়ন ডলার। চেলসির বিপক্ষে ৬ আগস্ট নর্থ ক্যারোলিনায় প্রি সিজনের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে অল হোয়াইটসরা। ফলাফল নিজেদের পক্ষে না আসলেও তরুণ খেলোয়াড়দের বাজিয়ে দেখাসহ প্রায় সাড়ে ১৩ মিলিয়ন ডলার পকেটে নিয়ে উয়েফা সুপার কাপ খেলতে যাবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
বার্সার ক্ষেত্রেও সমীকরণটা প্রায় একই। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে খেলা ম্যাচ থেকে তারা পেয়েছে ৩ মিলিয়ন ডলার। সফরের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলান। সেই ম্যাচ থেকেও তারা পাবে ৩ মিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার পাবে তারা।