যুদ্ধ , মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

হামাস নেতা হানিয়ার মৃত্যুতে উৎসবে মেতেছে ইসরাইল

হামাস নেতা হানিয়ার মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এমন হত্যাকে কাপুরুষোচিত ও অগ্রহণযোগ্য বলেছে রাশিয়া, চীনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন। ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আব্বাস। এদিকে হানিয়ার মৃত্যুতে রীতিমতো উৎসবে মেতেছে ইসরাইল।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। প্রতিক্রিয়া ও বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে হত্যার নিন্দা জানান বিশ্ব নেতারা।

হানিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়ায় ভাসছে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা। হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট। এক বিবৃতিতে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবিচল থাকার নির্দেশ দেন মাহমুদ আব্বাস। এদিকে ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠী বলছে, ইসরাইল পতনের দ্বারপ্রান্তে।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটানো সন্ত্রাসীদের জন্য কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করছে। হানিয়ার রক্তের প্রতিশোধ নেয়া তেহরানের কর্তব্য।

লেবাননের বাসিন্দারা বলছেন, এই ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। হানিয়ার মৃত্যুতে তারা শোকাহত। এদিকে ইসরাইলকে চিরশত্রু হিসেবে উল্লেখ করেছেন সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।

হিজবুল্লাহ নেতা আলী আম্মার বলেন, 'হানিয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করে যে, ইসরাইল শান্তি চায় না, তারা যুদ্ধ চায়। আমরাও এর জন্য প্রস্তুত আছি। চিরশত্রু ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।'

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমবেদনা ও শোক জানিয়েছে কাতার, তুর্কিয়েসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ ও সংগঠন। এক পোস্টে তুর্কিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, সমস্ত শক্তি দিয়ে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করবে তার দেশ।

হামলার চরম নিন্দা জানিয়েছে চীন, রাশিয়া, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশ। রাশিয়ার বক্তব্য এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যেকে আরও অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, 'হানিয়ার মৃত্যুতে চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। হত্যাকাণ্ডের চরম নিন্দা জানিয়েছে চীন। আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ মেটানো সম্ভব। সংঘাত যেন না বাড়ে এজন্য এই মুহূর্তে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।'

তবে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনও নীরব যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিরতি ছাড়া সমস্যার সমাধান হবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

তিনি বলেন, 'যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেমে থাকবে না। কারণ বেসামরিক নাগরিক হত্যা বন্ধ এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতির বিকল্প নেই। গাজার ঘটনায় আঞ্চলিক অশান্তি ছড়িয়ে পড়ছে।'

অন্যদিকে হানিয়ার মৃত্যুতে রীতিমতো উৎসব করছে ইসরাইল। দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, একজন নোংরা মানুষ থেকে মুক্ত হলো বিশ্ব। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এ বিষয়ে নীরব থাকার নির্দেশ দেয়ার পরও এই মন্তব্য করেন তিনি।