এ লক্ষ্যে লাতিন আমেরিকার দেশটির সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে সৌদির একটি প্রতিনিধি দল। আরব নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি সপ্তাহে সৌদির শিল্প ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী বন্দর আলখোরায়েফ ভ্যালের কারাজাস খনি পরিদর্শন করেন।, এসময় তাকে খনিজ উত্তোলন এবং প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। এর মধ্যে রিমোট মাইন ম্যানেজমেন্ট এবং ড্রাইভারবিহীন ট্রাকের বিষয়েও জানানো হয়েছে বলে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে।
শিল্প ও খনিজ সম্পদ উপমন্ত্রী খালিদ আল-মুদাইফার এবং অন্যান্য শিল্প নেতাদের সাথে নিয়ে খনি পরিদর্শন করেন আলখোরায়েফ। এসময় স্থানীয়দের সাথে নিয়ে রেইনফরেস্ট ও খনিজের প্রাকৃতিক সংরক্ষণাগারে খনন কাজ পরিচালনার বিষয়েও তাকে বিস্তারিত জানানো হয়।
আলোচনায় সৌদি আরবে ভ্যালের সার্বিক কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো এবং কারাজাস খনি উন্নয়নে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়েও কথা বলা হয়। এ খনিতে প্রতি বছর ৩০ কোটি টন আকরিক লোহা উৎপাদিত হয়ে থাকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে আলখোরায়েফ বলেন, আমি কারাজাসের ভ্যালে খনি পরিদর্শন করেছি। আকরিক লোহা উত্তোলন ও উৎপাদনের দিক থেকে এটি বিশ্বের অন্যতম বড় একটি খনি। খনিতে ব্যবহৃত উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও উপাদান উত্তোলন পদ্ধতিও দেখেছি।’
এটি দক্ষিণ আমেরিকায় আলখোরায়েফের বৃহত্তর সফরের অংশ, যার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন শিল্প খাতে পারস্পরিক বিনিয়োগের সুযোগ তৈরিতে চিলি সফরের কথাও রয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, মাইনিং বা খনিজ উত্তোলন খাতে সৌদি আরব বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। দেশটির অব্যবহৃত খনিজ সম্পদের মূল্য প্রায় ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বর্তমানে জাতীয় অর্থনীতির বিকাশে শিল্প খাতে খনিজ উত্তোলনকে তৃতীয় স্তম্ভে পরিণত করতে চাইছে সৌদি সরকার।