পরিষেবা
অর্থনীতি
0

ইন্টারনেট সেবা ফেরায় স্বস্তি, অনলাইন ব্যবসায়ীদের কর্মব্যস্ততা শুরু

দশদিন পর মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ফিরে আসায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবহারকারীদের মাঝে। বিশেষ করে যারা মোবাইল অ্যাপ এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করেন, তারা ফিরতে শুরু করেছে কর্মব্যস্ততায়। বিদেশি বায়াররাও যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীদের সাথে।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাই বন্ধ হয়েছিল মোবাইল ইন্টারনেট। এরমধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ফিরলেও অধরাই ছিল মুঠোফোন ইন্টারনেট সেবা। আজ (রোববার, ২৮ জুলাই) তাও ফিরলো। এতে আবার প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে ব্যবসা-বাণিজ্যে।

মোবাইল ইন্টারনেট আসাতে রাজধানীতে আবার চালু হয়েছে উবার, পাঠাওয়ের মতো অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং। রাইডার আবু রায়হানের নজর তাই ক্ষুদ্র স্ক্রিনে। এরইমধ্যে অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীদের ডাক পাচ্ছেন তিনি।

রায়হান বলেন, ‘ইন্টারনেট ফিরে আসায় আমরা খুশি। এখন অ্যাপেই আমরা কাস্টমার পাবো।’

কয়েকদিনের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে আয়-রোজগারে ভাটা পড়েছে রায়হানের মতো রাইডারদের। তবে নেট সচল হওয়ায় আশার আলো দেখছেন সবাই।

ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে দেশে প্রতিবছর প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা আয় হয়। ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়ে রাজস্ব আদায়ের এই খাতেও। সেখানেও ফিরেছে স্বস্তি। এখন নির্বিঘ্নেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে বিদেশি ক্লায়েন্টদের সাথে।

ফ্রিল্যান্সারদের একজন বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড পাওয়ার পরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে। আমরা প্রজেক্ট জমা দিতে পেরেছি। মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়েছে এখন বাহিরে থেকেও আপডেট নিতে পারবো।’

আরেকজন বলেন, ‘ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি যদি থাকে তাহলে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।’

এফবিসিসিআই বলছে, মোবাইল ইন্টারনেট ফিরে আসায় বহির্বিশ্বের সাথে ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুরু হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হবার আশা ব্যবসায়ী এই সংগঠনের।

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক রকিবুল আলম দিপু বলেন, ‘১০ দিন যে স্থবিরতা ছিল তা ইতিমধ্যে আমরা কাটিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। বহির্বিশ্বে যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল ও ব্যবসার যে ক্ষতি হয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।’

একইসাথে, উদ্যোক্তা বা যারা অনলাইন ব্যবসা করেন তাদের জন্যও খুলেছে পণ্য বেচাবিক্রির দ্বার। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন তারা। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রয়েছে, এটি উন্মুক্ত হলে ব্যবসা পূর্ণাঙ্গ স্বাভাবিক হবার আশা তাদের। আবার বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও অনলাইন ক্লাস চালুর বিষয়ে চিন্তাভবাবনা চলছে।

ইএ