অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্রান্সের উচ্চগতির রেলওয়ে নেটওয়ার্কে সিরিজ হামলায় স্থবির হয়ে পড়ে জনজীবন। এখনো পুরোপুরি সচল করা সম্ভব হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত আটলান্টিক, উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের রেল নেটওয়ার্ক। ফ্রেঞ্চ রেল প্রতিষ্ঠান এস এন সি এফ জানিয়েছে, পুরোদমে রেল কার্যক্রম চালু করতে আরও একসপ্তাহ প্রয়োজন। এতে ভোগান্তিতে পড়বেন অলিম্পিক দেখতে আসা এক লাখেরও বেশি পর্যটক।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) ফ্রান্সের তিন লাইন বিশিষ্ট উচ্চগতির টিজিভি রেল নেটওয়ার্কে একযোগে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। বিশেষ ফাইবার অপটিক ক্যাবলগুলো কেটে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বন্ধ করা হয় রেল চলাচল।
ফ্রান্সের জুনিয়র পরিবহন মন্ত্রী জানান, শুধু শুক্রবারই দুর্ভোগের শিকার হন আড়াই লাখ যাত্রী। সোমবার নাগাদ এই সংখ্যা পৌঁছাতে পারে ৮ লাখে। ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে ২৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক ইউরো স্টার ট্রেন যাত্রা। বাকি ট্রেনগুলো চলছে ১ থেকে ২ ঘণ্টা বিলম্বে। রেল নেটওয়ার্কে হামলার কারণে বিমানযোগে প্যারিস আসতে বাধ্য হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার।
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠীই হামলার দায় শিকার করেনি। দুর্বৃত্তদের খুঁজতে অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আতাল। জুনিয়র পরিবহন মন্ত্রীর ধারণা, অলিম্পিকের সঙ্গে হামলার কোনো যোগসূত্র নেই।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টাইমসের দাবি, রেল নেটওয়ার্কে হামলা চালিয়েছে বামপন্থী গোষ্ঠী ও রাশিয়া। যদিও ডেইলি মিররের মতে, রাশিয়া, চীন, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার হামলার ধরনের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই।
নতুন করে রেল নেটওয়ার্কের ওপর হামলা ঠেকাতে রুশ এজেন্টদের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখছে ইউরোপের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। রেলপথ নজরদারিতে ৫০টি ড্রোন ও ১ হাজার কর্মীকে মোতায়েন করেছে এস এন সি এফ।