সফরের ৩য় ও শেষ দিনে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী যান চীনের দ্যা গ্রেট হল অব পিপলসে। সেখানে পৌঁছানো মাত্র তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা জানান চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং। শেখ হাসিনাকে দেয়া হয় গার্ড অব ওনার। এর সাথে তোপধ্বনি হয় ২১ বার।
এরপরই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন দুই প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাথে সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা হয় দু'দেশের। বৈঠকে ২২টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের ব্যাপারে সম্মত হয় দু'পক্ষ। প্রধানমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে এই সাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের সফরে কয়েকটি নতুন সমঝোতাসহ বেশকিছু নতুন সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। যেখানে রয়েছে আর্থিক, প্রযুক্তি, কৃষি, অবকাঠামোসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ বলেন, 'চীনের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ প্রবেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোট ২১টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। কোনো চুক্তি হয় নি।'
চীন সরকারের তরফ থেকে নগদ এক বিলিয়ন চীনা মুদ্রা অর্থ সহযোগিতার ঘোষণাও দেয় চীনা প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ব্রিকসে যোগ দেয়ার ব্যাপারে চীনের তরফ থেকে প্রতিশ্রুতির কথাও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ইয়েন সহযোগিতা করবে চীন। সেই অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী। এই সহযোগিতার অর্থ বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ খাতে খরচ করতে পারবে।'
সমঝোতা স্মারক পর্ব শেষে চীনা সময় বিকেল ৪টায় চীনের প্রেসিডেন্ট শিং জিং পি'র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের সকল কর্মসূচি শেষ করে বুধবার রাতেই বিমান বাংলাদেশের বিশেষ বিমানে বেইজিং ছাড়বেন সরকারপ্রধান।