সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঝটিকা পরিদর্শনে যান। সেবার মান নিয়ে কথা বলেন রোগীদের সাথে।
এরপর মেডিকেলের সার্বিক সমস্যা, নষ্ট হওয়া যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসাসেবা নিয়ে বৈঠকে বসেন চিকিৎসকদের সাথে। এসময় চিকিৎসকরা চট্টগ্রাম মেডিকেলের যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকা, জনবল সংকটসহ নানা সমস্যা তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, 'চট্টগ্রাম মেডিকেলে এমআরআই, এক্সরেসহ নানা মেশিন নষ্ট থাকা দুঃখজনক। সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকার হাসপাতালে যান না। উনাদের আস্থা নেই, তাই বিদেশে চলে যান। উনারা এলাকার হাসপাতালে গেলে ব্যবস্থাপনা অনেকটাই ঠিক হতো।'
এর আগে চীনের অর্থায়নে ২৮৫ কোটি টাকায় নির্মাণ হতে যাওয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট পরিদর্শন করেন তিনি। ছয়তলা আধুনিক এ বার্ন ইউনিট এরইমধ্যে একনেকে পাস হয়েছেন। এ বার্ন ইউনিটের যন্ত্রপাতি, প্রকৌশলী, উপকরণ সরবরাহ করবে চীন।
পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর এবার চীন সফরের পরই এ মাসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও সেপ্টেম্বরে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। শেষ হবে দুই বছরের মধ্যেই। এটি নির্মাণ হলে চট্টগ্রাম থেকে আগুনে পোড়া রোগীদের আর ঢাকায় যেতে হবে না। এতে অনেকেই প্রাণহানি থেকে বেঁচে যাবেন বলে জানান মন্ত্রী।
গত দুই দিনের সফরে মন্ত্রী নগরী ও উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় হাসপাতাল, ক্লিনিকে যান। এসময় তিনি জোবরা গ্রামে ঢুকে কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে নিজেই ডায়বেটিস পরীক্ষা করান। কথা বলেন রোগীদের সাথেও। এখন থেকে নিয়মিত দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় হাসপাতাল, ক্লিনিক পরিদর্শন করবেন বলেও এসময় জানান তিনি।