বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, 'ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। সঠিক তথ্য নিশ্চিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেকদূর এগিয়েছে। এখন অর্থনৈতিক শুমারির কার্যক্রম চলমান। এ প্রতিবেদন প্রকাশ হলে আমাদের উন্নয়নের চিত্র সবার সামনে তুলে ধরা হবে।'
এই নির্ভরশীল জনসংখ্যা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রচেষ্টার উদাহরণ প্রযুক্তিনির্ভর জনশুমারি ও গৃহগণনা। নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছেন। এজন্য সবাইকে পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে উৎসাহ দিতে হবে।'
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর তথ্য অনুযায়ী, ফেনীর মোট জনসংখ্যা ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৬ জন। তার মধ্যে ৪৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৬৭ শতাংশ নারী। জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সংখ্যা ৯০৬ জন। মোট পরিবারের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজার ১৬৪। জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ, যা ২০১১ সালের শুমারিতে ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১ হাজার ৬৬৫ জন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেলায় প্রবাসীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৪৩ জন। এ সংখ্যা জেলার মোট জনসংখ্যার ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। মোট জনসংখ্যার ৩৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ পরিবার রেমিট্যান্স পেয়ে থাকেন। জেলায় ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর স্বাক্ষরতার হার ৮০ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
এতে আরো বলা হয়, বর্তমানে জেলায় মোট জনসংখ্যার ৫৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ পরনির্ভরশীল। যেখানে জাতীয়ভাবে এ নির্ভরশীলতার হার ৫৩ শতাংশ।
জেলায় সর্বাধিক জনসংখ্যা ফেনী সদর উপজেলায়। সবচেয়ে কম জনসংখ্যা পরশুরাম উপজেলায়।
জেলা কালচারাল কর্মকর্তা এসএমটি কামরানের সঞ্চালনায় সভায় প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. তানজীব হাসান ভূঁইয়া। এতে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক গোলাম মো. বাতেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপসচিব মুনিরা ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অংপ্রু মারমা।