বাংলাদেশ যদি কোনো কারণে নেপালের হিমালয় ডিঙাতে না পারে তাহলে কী হবে? এর পরও কিন্তু সুপার এইটে কোয়ালিফাই করবে শান্তর দল।
সেক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসকে বড় ব্যবধানে হারতে হবে শ্রীলঙ্কার কাছে। আবার লঙ্কানরা যদি ডাচদের কাছে বিশাল ব্যবধানে হারে ও টাইগাররাও বড় ব্যবধানে হারে নেপালের বিপক্ষে সেক্ষেত্রে ডাচরা উঠে যাবে সুপার এইটে। তবে এতো যদি-কিন্তুর ভাবনা নেই। অবিশ্বাস্য কিছু না হলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলেই পরবর্তী পর্বে নাম লেখাবে।
সুপার এইটে আইসিসির একটা নিয়ম আগে থেকে নির্ধারিত। তা হলো সেরা র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে সুপার এইটে ঠিক করে রেখেছে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই। এই যেমন র্যাঙ্কিং ওপরে থাকা গ্রুপ 'এ'তে ভারতকে এ-১ ও পাকিস্তানকে এ-২ নির্ধারিত করা হয়েছে। বাকি গ্রুপগুলোতেও ওই একইভাবে ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দলগুলো সুপার এইটে কোয়ালিফাই করতে না পারলে যে দলগুলো কোয়ালিফাই করবে তারা একই প্রক্রিয়ায় আসবে।
তার মানে সুপার এইটে কোয়ালিফাই করতে পারলে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এখনই নির্ধারিতভাবে বলা যায়। এই যেমন বাংলাদেশ ডি গ্রুপ থেকে ডি-২ দল হিসেবে সুপার এইটে প্রথম ম্যাচ খেলবে ২১ জুন ভোর সাড়ে ৬টায় সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
পরের দিন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ভারত। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। এ দুটি ম্যাচের ভেন্যু অ্যান্টিগা।
সুপার এইটে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভোর সাড়ে ৬টায় কিংস টাউনের সিন্ট ভিনসেন্টে।
সুপার এইটে ৮ দল দুই গ্রুপে চার দল করে তিনটি করে ম্যাচ খেলবে। এখান থেকে সেরা দুই দল সেমিফাইনালে খেলবে। শীর্ষ চারের লড়াই শেষে ২৯ জুন বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।