ভর্তুকি ও প্রণোদনা এবং পেনশনসহ খাতভিত্তিক বিভাজন করলে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেটে বরাবরের মতো এবারও বরাদ্দ বেশি জনপ্রশাসন খাতে। যদিও তার সিংহ ভাগই সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারিদের বেতন ভাতা ও পরিচালন ব্যয়ে চলে যাবে।
২য় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে। যেটি মোট বাজেটের ১৪ শতাংশ।
আগের তুলনায় বরাদ্দ কমেছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। ৫ হাজার কোটি টাকা কমেছে এ খাতের মোট বরাদ্দ। জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমে হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। নিম্নমুখী স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নও।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব খাতে বাজেট কমার কারণ হিসেবে উচ্চ সুদ পরিশোধ, ভর্তুকি, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতার বরাদ্দ। এই ৩ খাতেই ব্যয় হচ্ছে ৩৫ শতাংশের বেশি বাজেট।
২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দে বরাবরের মতো শীর্ষ রয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ। যেটি গত অর্থবছরে তুলনায় মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা বেশি।
নতুন মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মা রেলসেতুসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু প্রকল্প চলমান থাকায় এবার উন্নয়ন বরাদ্দে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত।
২য় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। যেটি মোট বরাদ্দের ১৫ শতাংশ। শিক্ষা খাত রয়েছে এবার তৃতীয়তে। গতবছরের তুলনায় উন্নয়ন বাজেট বেড়েছে গৃহায়ণ ও স্বাস্থ্য খাতে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে তুলনায় এডিপিতে বরাদ্দ সবচেয়ে কমেছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে। কমেছে কৃষি, পরিবেশ, জলবায়ু ও পানি সম্পদে।
এবার মন্ত্রণালয় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১৫ শতাংশ বরাদ্দ মিলেছে স্থানীয় সরকার বিভাগে। ২য় সর্বোচ্চ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ পেয়েছে। পিছিয়ে রেলপথ, নৌ পরিবহন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।