দেশে এখন

ভেজাল পণ্যের সরবরাহ কমাতে গণমাধ্যমের সাথে কাজ করবে ভোক্তা অধিদপ্তর

ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, 'ভোক্তা স্বার্থ বিবেচনায় জনসচেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের সম্পৃক্ত করার জন্য মিডিয়া ফেলোশিপ প্রদান কার্যক্রম মাইলফলক হয়ে থাকবে। ফেলোশিপ প্রাপ্ত সাংবাদিকবৃন্দের রিপোর্টের মাধ্যমে প্রসাধনী সেক্টরের অনিয়মসমূহ দূর হবে এবং ভোক্তাগণ সচেতন হবেন। এছাড়াও এসকল রিপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত গবেষণা কার্যক্রমে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।'

মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফেকচারার্স এন্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের আয়োজনে মিডিয়া ফেলোশিপ ২০২৪ এর জন্য মনোনীত সাংবাদিকবৃন্দের অংশগ্রহণে ওরিয়েন্টেশন সেশন আয়োজন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান,  পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেনসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফেকচারার্স এন্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের  সেক্রেটারি জামাল উদ্দিন, ফেলোশিপপ্রাপ্ত সাংবাদিকবৃন্দ।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, 'আমরা প্রতিনিয়ত ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি কিন্তু এই ক্ষেত্রে সফল হতে হলে প্রয়োজন ভোক্তাদের সচেতনতা ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।'

আলোচনায় মহাপরিচালক অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অসঙ্গতি যথা কসমেটিকস পণ্যের মোড়কে আমদানিকারকের তথ্য এবং সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উপাদান, পরিমাণ, ব্যবহারবিধি, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকা, প্রাইসগান মেশিনের সাহায্যে খুচরা বিক্রেতা নিজেই সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য প্রদান করা, আমদানিকারক কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য কেটে অধিক মূল্য লেখা, বিদেশি পণ্য নকল করে দেশের অভ্যন্তরে তৈরি করে বিদেশি পণ্য হিসেবে বিক্রয় করা হয়, নকল কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে সঠিক মানদন্ড না থাকা এবং বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ বা অনুমোদনহীনসহ অন্যান্য কসমেটিকস বিক্রয় ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন। 

তিনি বলেন, 'অধিদপ্তর ভোক্তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও সুরক্ষা প্রদান করেন। দেশীয়ভাবে প্রসাধনী প্রস্তুতকরণ ও বাজারজাতকরণের উদ্যোগকে আমরা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। কেননা এর মাধ্যমে দেশীয় শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণ হচ্ছে, প্রসাধনীর আমদানি হ্রাস পাচ্ছে এবং সর্বোপরি ভোক্তাগণ মানসম্মত প্রসাধনী পাচ্ছেন।' 

ভোক্তা স্বার্থ বিবেচনায় জনসচেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের সম্পৃক্ত করার জন্য মিডিয়া ফেলোশিপ প্রদান কার্যক্রম মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। — সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর