স্টক এক্সচেঞ্জটির কর্মকর্তা দুজন হলেন ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজিএম সাত্তিক আহমেদ শাহ এবং বাজার উন্নয়ন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. সামিউল ইসলাম।
ডিএসইর চিঠিতে দেশের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজার সম্পর্কে উল্লেখ করে বলা হয়, 'দেশের শিল্পায়ন ও পুঁজিবাজার উন্নয়নের সাথে সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অটল প্রচেষ্টা এবং মূল্যবান অবদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা। সাম্প্রতিক দশকে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। একটি কার্যকর পুঁজিবাজার অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে একটি টেকসই দেশ নিশ্চিত করতে পরিবর্তনকারী ভূমিকা পালন করতে পারে। ডিএসই বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার। যা উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট এবং মধ্যস্থতাকারীদের একত্রিত করতে এবং সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সারিবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য বাজারকে ঠিক রাখে।'
চিঠিতে আরও বলা হয়, 'আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। যা তালিকাভুক্ত হওয়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে দায়িত্বশীল, দক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করবে। এতে কোম্পানির কর্পোরেট গভর্নেন্স এবং স্বচ্ছতাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডিএসইর বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুসারে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এই বিষয়ে আপনার সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'
প্রসঙ্গত, গত ৯ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে মাত্র ২০টি সরকারি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এগুলোর বাজার মূলধন ৭.৮১ শতাংশ। সবশেষ ২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান। এরপর নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও আর কোনো কাজে আসেনি।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো হলো— এটলাস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (বিডি সার্ভিস), বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি (বিএসসিসিএল), বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), ইস্টার্ন কেবলস, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইবিসি), যমুনা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ন্যাশনাল টিউবস, পদ্মা অয়েল, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, রূপালী ব্যাংক, শ্যামপুর সুগার মিলস, তিতাস গ্যাস, উসমানিয়া গ্লাস সিট ফ্যাক্টরি ও জিলবাংলা সুগার মিলস।—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি