আফ্রিকা
বিদেশে এখন

তিন দশকের আধিপত্যের অবসান ম্যান্ডেলার দলের

দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচনে ৩০ বছর পর সংখ্যাগরিষ্ঠা হারালো নেলসন ম্যান্ডেলার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি)। বিশ্লেষকরা বলছেন, বেকারত্ব, বৈষম্য ও বিদ্যুৎ সঙ্কটে তাদের এই ভরাডুবি। এখন সরকার গঠনে জোট গঠন করতে হবে এএনসিকে। এদিকে, নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে বর্ণবাদের হাত থেকে মুক্ত করেছিল নেলসন ম্যান্ডেলার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস। এবার ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে থাকলেও দলটি হারিয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা। গত নির্বাচনে ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল ক্ষমতাসীন দলটি।

দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার গঠনে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট প্রয়োজন। এখন এএনসিকে ক্ষমতায় থাকতে হলে অন্য দলের সঙ্গে জোট গঠন বা সমঝোতায় যেতে হবে। এ ছাড়া এএনসি'র সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। এর মধ্য দিয়ে গত ৩০ বছর আধিপত্যের অবসান হতে যাচ্ছে দলটির।

দেশটির প্রধান বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স পেয়েছে ২১.৭১ শতাংশ ভোট। সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার নেতৃত্বাধীন নতুন দল এমকে প্রায় ১৫ শতাংশ ভোট নিজেদের দিকে টানতে পেরেছে। নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে দলটি।

এমকে পার্টির নেতা জ্যাকব জুমা বলেন, 'আমরা এখানে শান্তি ও সবকিছু সুন্দরভাবে করতে এসেছি। আমাদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার কথা। কিন্তু কৌশল করে তা হস্তক্ষেপের চেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়গুলো আমরা জনসমক্ষে আনতে চাই।'

বিশ্লেষকদের ধারণা, এবারের ভোটে বেকারত্ব, বৈষম্য ও বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে জনগণের ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯৯৪ সালে সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে এএনসি। তাদের শাসনামলে গত এক দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে। বেড়েছে বেকারত্ব, ভেঙে পড়েছে সড়ক ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো।

এবারের নির্বাচনে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম মাত্র ৫৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। ক্ষমতাসীন দল এএনসির ঘাঁটিগুলোতে ভোটদানে অনীহা ও উদাসীনতা দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর