জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চড়া থাকে তাপমাত্রার পারদ। এই সময়টায় মরুর দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত আবহ থাকায়; বিপাকে পড়তে হয় খোলা আকাশের নিচে কাজ করা প্রবাসী শ্রমিকদের। যাদের বড় একটি অংশই নির্মাণ খাতের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত।
এই তালিকায় আছেন অনেক বাংলাদেশিও। তপ্ত রোদে কাজ করতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
এ অবস্থায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে কাতার সরকার। সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা জায়গায় কর্মরত শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক বিশ্রামের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়। এতে খুশি রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।
প্রবাসীরা বলেন, 'এই তিনমাস আমাদের কাজ করতে কষ্ট হয়। কারণ প্রচণ্ড দাবদাহ থাকে। কাতার সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা এখন অনেকটা স্বস্তি পাবো।'
অতিরিক্ত গরমে কাতার সরকারের দেয়া নির্দেশনাটি প্রবাসী শ্রমিকদের মাঝে পৌঁছে দিতে প্রচারণা শুরু করেছে বলে জানান কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর।
তিনি বলেন, 'গরমে অনেকের হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে জন্যই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আমরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। সবাই যেন কাতার সরকারের নির্দেশ মেনে চলে।'
প্রতি বছর গরমের দিনে খোলা জায়গায় কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আসছে কাতার সরকার। তবে এবার একটু আগেভাগে আসলো এমন সিদ্ধান্ত। পহেলা জুন থেকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিনের বেঁধে দেয়া সময়ে কোনো শ্রমিককে বাইরে কাজে পেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কর্মরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ জরিমানার বিধান রেখেছে কাতার সরকার।