অনেক মানুষ গত বছরখানেক ধরে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক ভিসায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকে এজেন্সিগুলোর কাছে দিয়েছেন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। এর বিনিময়ে তাদের ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল ভুয়া টিকিট। গত ২৭ মে সেই টিকিট নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসলে ইমিগ্রেশন থেকেই ফেরত পাঠানো হয়। তারা আজও এসেছেন, যদিও জানেন না টিকিট পাবেন কি না।
ভুক্তভোগী একজন বলেন, 'সকাল ৭টায় এখানে আসছি। তখন ভেতরে নিয়ে আমাদের ইমিগ্রেশনে আটকিয়ে দিয়েছে। বলেছে আমাদের ফ্লাইট হবে না। আমাদের ব্যাংককের ভিসার কথা বলেছে। কিন্তু আমাদের তো সেটা নেই।'
আল হেরা নামক রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধি দায় এড়িয়ে জানান, এটা ভুল বোঝাবুঝি । তারা আজকেও চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাদের টিকিট দেয়ার জন্য।
আল হেরা ওভারসিজের প্রতিনিধি ফজলুল হক বলেন, 'তিনদিন ধরে আমাদের বস অনেক চেষ্টা করছে টিকিটির জন্য। এখন টিকিটির দাম ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আগে এর দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। হঠাৎ কি কারণে এমন দাম বাড়লো তা আমরা বলতে পারছি না।'
আজকের (৩১ মে) পর বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের শ্রমিকরা ঢুকতে পারবে না মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে। তাই শেষ দিনে অনেকেই টিকিট না পেলেও ভিড় করেছেন বিমানবন্দরে। অধিকাংশই জানেন না, কখন পাবেন তার কাঙ্ক্ষিত টিকিট।
এজেন্সিগুলোকে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা দিয়েছেন মালয়েশিয়ায় অভিবাসন প্রত্যাশীরা। বিনিময়ে তারা কয়েকদিন পর্যন্ত ঘুরেছেন এজেন্সির অফিসে ও বিমানবন্দরে।
অন্যদিকে এজেন্সিগুলো বলছে, হুট করে মালয়েশিয়া এ সিদ্ধান্ত দেয়ায় কিছুটা ঝামেলায় পড়েছেন । এতে করে ৭৩ হাজার টাকার টিকিটের দাম দিতে হচ্ছে দেড় লাখ টাকা। তবুও মিলছ না টিকিট।
শুক্রবার ৭টি নিয়মিত ও একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রায় ১ হাজার ৮০০ যাত্রীর কুয়ালালামপুর যাওয়ার কথা। এতে বাকি প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিকের দেশটিতে যাওয়া নিয়ে রয়েই যাচ্ছে অনিশ্চয়তা।