এশিয়া
বিদেশে এখন

দক্ষিণ এশিয়ার বৈরি তাপমাত্রায় নাকাল অবস্থা মানুষের

একদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি। আবহাওয়ার বৈরিতায় বিপর্যস্ত ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল। এরমধ্যেই ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে দিল্লির তাপমাত্রা। সাইক্লোন রিমালের আঘাতে বন্যা দেখা দিয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। তীব্র দাবদাহে নাকাল পাকিস্তানও।

গতকাল (বুধবার, ২৯ মে) ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছে দিল্লির তাপমাত্রা। দিল্লির মুঙ্গেশপুরে সবশেষ এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশটির উত্তর আর পশ্চিমাঞ্চলের তীব্র তাপপ্রবাহে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারছেন না। গেলো কয়েকবছর তীব্র তাপপ্রবাহ থাকলেও ভারতের রাজধানীর তাপমাত্রা কখনও ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ওঠেনি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ (বৃহস্পতিবার, ৩০ মে) থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা।

গুজরাটের আহমেদাবাদে মানুষকে রোদের খরতাপ থেকে ছায়া দিতে রাস্তায় রঙ বেরঙয়ের ছাতার ব্যবস্থা করেছে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। এই রাস্তায় লাগানো হয়েছে ৮০০ এরও বেশি ছাতা। পথচারীরা এই ছাতাগুলোর নিচ দিয়ে চলাচল করে রোদের তাপ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করছে ভারত।

এদিকে দেশের একদিকে যেমন গরমে নাকাল মানুষ অন্যদিকে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অনেক এলাকা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সাইক্লোন রিমালের আঘাতে মণিপুর আর আসামে বন্যায় তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি। রিমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বেড়েছে বন্যার পানি।

তাপপ্রবাহ রেকর্ড ভেঙেছে পাকিস্তানেও। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বুধবার লাহোরে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে সোমবার (২৭ মে) দেশটির সিন্ধু প্রদেশে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তীব্র গরম থেকে রেহাই পেতে নানা চেষ্টা করে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

মে মাসে তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল পুরো এশিয়াতেই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের কারণে সৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয়ে জলবায়ু পরিবর্তন এতো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এল নিনোর প্রভাবে এপ্রিলের শুরু থেকে রেকর্ড তাপপ্রবাহ দেখছে ভারত, ফিলিপিন্স, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কোটি কোটি মানুষ।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর