দেশে এখন

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ফেনীতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন সাড়ে ৪ লাখ মানুষ

প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। উপকূলীয় জেলা ফেনীতে এর প্রভাবে রাত থেকেই তীব্র ঝড়ো হওয়া ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, 'রাত থেকেই ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে পুরোপুরি সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে সংযোগ সচল করতে কাজ শুরু হবে। বর্তমানে জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে।'

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আ.স.ম. রেজাউন নবী বলেন, 'তীব্র ঝড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে লাইন মেরামতে কাজ শুরু হবে।'

গতকাল রাত থেকেই উপজেলাগুলোতে বিদ্যুৎ ছিল আশা যাওয়ার মাঝে। জেলা শহরে মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক থাকলেও তারপর থেকে বেশিরভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

জেলার উপকূলীয় জনপদ সোনাগাজী, ফুলগাজী, পরশুরামসহ বিভিন্ন এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। 

সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ধান গবেষণা এলাকার বাসিন্দা রুবেল বলেন, 'বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র বাতাসের কারণে কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।'

সোনাগাজীর চরচান্দিয়া এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, 'মধ্যরাত থেকে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা নিরাপদে আছি। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকলেও লোকালয়ে প্রবেশ করেনি।'

ফেনী আবহাওয়া দপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, 'সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এখনো ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। আজও সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।' 

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর