বাজার
দেশে এখন
0

‘বাজার অস্থির হওয়ার নেপথ্যে তেজগাঁও ডিম সমিতি’

ডিমের দাম ওঠানামায় বাজার অস্থির হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে তেজগাঁও ডিম সমিতির কারসাজি আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন। আজ (শনিবার, ২৫ মে) সকালে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংগঠনটি জানায়, তেজগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ী সমিতি ডিমের দাম কমিয়ে খামারিদের কাছ থেকে ৭ টাকায় কিনে কোল্ড স্টোরেজ করার পর বাজারে দাম বাড়িয়ে দেয়।

বর্তমানে প্রান্তিক পর্যায়ে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ৯ টাকা থেকে সাড়ে ১০ টাকা, যা এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে সাড়ে ১২ টাকায়। আর এই দাম যৌক্তিক হলেও খামারি, পাইকারি, খুচরা পর্যায়ে প্রতিদিন ১০ টাকা ২০ টাকা করে কমিয়ে ৭ টাকায় দাম নামিয়ে আনে। আবার একই নিয়মে বাড়িয়ে ডিমের পিস ১৩ টাকায় পৌঁছায় বলে জানায় পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, কম দামে ডিম কিনে নিয়ে কোল্ড স্টোরেজ করে পরবর্তীতে সেই ডিম সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করে। অন্যদিকে উৎপাদক ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এ কারণে উৎপাদন থেকে সরে যাচ্ছে বলেও জানানো হয়।

আরও জানানো হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তার দুর্নীতিতে কর্পোরেট কোম্পানির পোল্ট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার দামের কারসাজিতে প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বাজারে ডিম ও মুরগির দাম বাড়লেও খামারিরা উৎপাদন থেকে সরে যাচ্ছে।

পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন ৪ কোটি ডিমের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন সাড়ে ৪ কোটি ডিম।

এসএস