দেশে এখন

মেহেরপুর পুলিশ লাইনের চারপাশে সবজি চাষ

সবজি চাষে বদলে গেছে মেহেরপুর পুলিশ লাইনের চারপাশ। একসময় যে জমি জঙ্গলে ভরা ছিল সেখানে এখন ফলছে নানা ধরনের সবজি। এতে একদিকে যেমন পুলিশ সদস্যদের নিরাপদ পুষ্টি চাহিদা মিটছে অন্যদিকে সুরক্ষিত থাকছে পরিবেশ।

২০২৩ সালের ১২ মে মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন আহসান খান। এখানে আসার পর থেকে পুলিশ লাইনের পরিত্যক্ত জমিতে সবজি চাষের উদ্যোগ নেন তিনি।

গত এক বছরেই পাল্টে গেছে মেহেরপুর পুলিশ লাইনের চারপাশ। একসময় যে জমি জঙ্গলে ঘেরা ছিল এখন সেখানে আবাদ হচ্ছে বেগুন, লালশাক, পুঁইশাক, পেঁপে, মরিচ, ঢেঁড়স, বরবটিসহ প্রায় ১২ থেকে ১৫ রকমের সবজি। যা তৈরি হচ্ছে বালাইনাশক ছাড়াই।

পুলিশ কনস্টেবলদের একজন বলেন, 'এখানে রাসায়নিক সার ছাড়া সকল সবজি চাষ করা হয়। জৈব সার দিয়ে চাষ করা হচ্ছে সকল সবজি।'

মেহেরপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান বলেন, '১২ থেকে ১৫ রকমের সবজি এখানে চাষ করা হচ্ছে।'

এই উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ সুন্দর থাকছে অন্যদিকে নিরাপদ সবজি খাওয়ার ফলে শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত হচ্ছে। পরিত্যক্ত সব জমিকে চাষের আওতায় আনার কথা জানান পুলিশ সুপার।

মেহেরপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক বলেন, 'এই চাষে সফলতা পাচ্ছি। চাষকে ছড়িয়ে দিতে পুলিশ লাইনের পতিত জায়গায় আরও বড় পরিসরে চাষ করা হবে।'

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অনাবাদি জমিতে সবজি চাষ বাড়াতে নানা কার্যক্রম চলছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

মেহেরপুর সদরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চাইনা খাতুন বলেন, 'সরকারিভাবে বীজ এবং সার দিয়ে এখানে চাষ করা হচ্ছে। সেই সাথে সরকারি অফিসগুলোতে পতিত জায়গায় আরও চাষ বাড়ানোর কাজ করা হচ্ছে।'

পরিত্যক্ত জমিতে নিরাপদ সবজি চাষ বাড়লে একদিকে যেমন পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে অন্যদিকে সবজি চাহিদা মিটবে স্থানীয়দের।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর