চট্টগ্রামে মাছের চাহিদার ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ সামুদ্রিক মাছে পূরণ হয়। কিন্তু সরকারি নির্দেশনায় গত ২০ মে থেকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। সেই সঙ্গে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকেও মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। যার প্রভাব মাছের সরবরাহে পড়েছে। আর সামুদ্রিক মাছ বাজারে নেই বললেই চলে, হিমাগারে রাখা পোয়া, রূপচাঁদা, কোরালসহ কিছু মাছ পাওয়া গেলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্রবারে, ২৪ মে) চট্টগ্রামের পাইকারি মাছের বাজার ফিশারিঘাটে পুকুর এবং হাওর অঞ্চলের মাছের সরবরাহ ও চাহিদা বেড়েছে। কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দামও বেড়েছে। তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৬০টাকা, রুই-কাতল, মৃগেল আকারভেদে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪২০ থেকে ৫০০ টাকা এবং চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলেন, ‘চট্টগ্রামের ভেতরে যেসব বোট আর জাহাজ আছে সেগুলো ৬৫ দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে। এখন আমাদের হিমাগারে রাখা মাছগুলো বিক্রি করছি। আর সব ধরনের মাছের দামই বেড়েছে।’
এদিকে দাম বাড়ায় হতাশ ক্রেতারা। অনেকে কম দামের মাছ কিনে ফিরছেন কেউ আবার চাহিদায় লাগাম টানছেন।
ক্রেতারা বলেন, ‘আমরা কম দামে কেনার জন্যই এখানে আসি। কিন্তু দাম কম পাচ্ছি না বরং সব মাছের দাম বেড়েছে।’
চট্টগ্রামে চাহিদার ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ পূরণ করে চাষের মাছ। তবে বর্তমানে সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকায় চাহিদার ৯০ শতাংশ পূরণ করছে মিঠা পানির মাছ।