মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন

মালয়েশিয়ার খামারে নানা প্রজাতির পশু, কাজ করছেন বাংলাদেশিরা

প্রায় ৬৫ শতাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বীর দেশ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন খামারে নানা প্রজাতির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। ঈদকে ঘিরে স্থানীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশি মালিকানাধীন খামারেও পশুর বাড়তি যত্ন নেওয়া হচ্ছে। চাহিদা বিবেচনায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকেও গরু আমদানি করা হয়েছে। এসব খামারে কাজের সুযোগ হয়েছে স্থানীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশিসহ বিদেশিদের।

সামনেই ঈদুল আজহা, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় এদিন পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলিমরা। দেশটিতে কোরবানির চাহিদা মেটাতে স্থানীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশি মালিকানাধীন খামারগুলোতেও নানা প্রজাতির পশু লালন-পালন করা হচ্ছে। আর ঈদ সামনে রেখে খামারগুলোতে পশুর সরবরাহ যেমন বেড়েছে তেমন বাড়তি যত্ন নেওয়া হচ্ছে।

কুয়ালালামপুর ঘেঁষা গুমবাক শহরের খামারে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ রয়েছে। দেশটিতে অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি খামার ব্যবসায়ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। গত বছরের মতো এবারও লাভবান হওয়ার প্রত্যাশা করছেন প্রবাসী উদ্যোক্তারা।

প্রবাসী বাংলাদেশি মো. সেলিম বলেন, ‘লাভ সীমিত কিন্তু খরচটা বেশি। তারপরও ভালো আছি। ঈদ উপলক্ষেও আমরা নতুন গরু প্রস্তুত করেছি। আর অন্য বছরের চেয়ে এবার বেশি দামেই গরু কিনতে হবে।’

মালয়েশিয়ায় খামারগুলোতেই সাধারণত কোরবানির পশু বেচাকেনা হয়। তাছাড়া পশু জবাই থেকে শুরু করে মাংস কেটে নেওয়ার সুযোগ থাকে। ফলে ঈদের দিনে কর্মী চাহিদা বাড়ে কয়েকগুণ। এতে বাড়তি আয়ের সুযোগ পান প্রবাসীরা।

দেশটির খামারিরা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য সীমান্ত দিয়ে পশুর অনুপ্রবেশ বন্ধে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটির কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রী।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর