বন্যার কারণে কাঁদামাটি আর পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তোষক-বালিশ, জামা কাপড়, জ্বালানি কাঠসব ছোট-বড় আসবাবপত্র। বাসিন্দাদের একজন বলেন, 'শুক্রবার নামাজ পড়তে গেছিলাম। ফিরে এসে দেখি বন্যার পানিতে ঘর ভেসে গেছে। আমার পরিবারের ৭ জনই মারা গেছে। শুধু আমিই বেঁচে আছি।'
আরেকজন বলেন, 'সৃষ্টিকর্তার ওপর আস্থা রাখা ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ খোলা নেই। হয়তো মুসলিম রাষ্ট্র ও সংগঠনগুলো সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে।'
বালগান গ্রামের অন্তত ৬০ জন বাসিন্দা বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে। বিলীন হয়েছে ৮০ শতাংশেরও বেশি বাড়িঘর। অন্তত ৪শ' ভেড়া এবং ১শ' গরু তলিয়ে গেছে পানিতে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা'র প্রতিবেদন বলছে শুধু বাঘলান প্রদেশেই ২১৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে এভাবেই প্রকৃতির তাণ্ডব দেখছে দারিদ্রে জর্জরিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান। অতিবৃষ্টি আর বন্যা ডেকে এনেছে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের অশনি সংকেত। পানির তোড়ে ভেসে গেছে ফসলের মাঠ, ঘর-বাড়ি। নিখোঁজদের সন্ধানে প্রতিদিন স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছে অসংখ্য পরিবার। সহায়-সম্বলহীন হাজারো মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে কাজ করছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, ডব্লিউএফপি'র আশংকা, অতিবৃষ্টিতে বাঘলানসহ তাখার, বাদাকাশান, ঘর ও হেরাত প্রদেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। গেল মাসের মাঝামাঝিতে দেশটির ১০টি প্রদেশে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসের কবলে পড়েছে চীনের স্বায়ত্বশাসিত গুয়েংসি জুয়াং প্রদেশ। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকার সাহায্যে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। একই পরিস্থিতি নাপো কাউন্টিতেও। ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে প্রধান সড়কপথ। সিসিটিভির প্রতিবেদন বলছে, আগামী ১০ দিন চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়েইজো ও ইউনান প্রদেশে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়ছে।