চট্টগ্রামের পর মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উল্লাস। বোলারদের সৌজন্যে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ সহজ হলেও কঠিন করেই জিতেছে বাংলাদেশ।
স্বাগতিকদের দেয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সফরকারীরা। পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং ঝড়ে উলট পালট জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার। পরে সাকিব আল হাসান, রিশাদ হোসেন আর মুস্তাফিজের দাপটে একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জিম্বাবুয়ের আরও চার ব্যাটার।
সেখান থেকে দলকে জেতাতে নিজের গতিতে এগিয়ে যাওয়া ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নামা জোনাথন ক্যাম্পবেলকে থামাতে ভুল করেননি অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান। এরপই ফারাজ আকরামের উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় অনেকটাই ঘুড়িয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান।
সেসময় জিম্বাবুয়ের দলীয় সংগ্রহ ১২৮ রান। মাঠে টান টান উত্তেজনা। শেষ ওভারে আবারও বল হাতে নেন সাকিব। শুরুতেই ওভার বাউন্ডারি মেরে রান কমিয়ে ফেলেন মুজারাবানি। তখনও জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য দরকার আরও ৭ রান। এরপরই অভিজ্ঞ সাকিবের আঘাতে বোল্ড হয়ে ফিরলে জয়ের আনন্দে ভাসেন টাইগার সমর্থকরা। বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজ নেন ৩ উইকেটআর সাকিব আল হাসানের সবোর্চ্চ ৪।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। লিটন দাসের পরিবর্তে তানজিদ তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার। দুজনের মারকুঠে ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। তবে এগারো ওভারেই ওপেনারকে হারিয়ে টালমাটাল বাংলাদেশ। ব্যাটারদের মধ্যে তৌহিদ হুদয়, অধিনায়ক শান্ত এমনকি সাকিবও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেনি।