সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে থাই সফর নিয়ে লিখিত বক্তব্যে এই সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এরপর তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘থাইল্যান্ড সফরে এসক্যাপ সম্মেলনে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধকে 'না' বলার জন্য আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমি আহ্বান জানিয়েছি। ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত, ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।’
এই সফরে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে "মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি”-এর পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগ, যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন সহযোগিতা, জ্বালানি নিরাপত্তা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
দেশটির বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘থাইল্যান্ডে তৈরি পোশাকসহ কিছু বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশ সুবিধা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়াস হিসেবে এ সফরটি সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে।’
থাই সফরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই সফরে দু’দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে নতুন দুয়ার খুলে গেলো। থাইল্যান্ড সরকারকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি। আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
ফিলিস্তিনি ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আছে বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনিদের জন্য সহযোগিতা পাঠিয়েছি, আরো পাঠাবো। ফিলিস্তিনে অমানবিক নির্যাতন হচ্ছে। এ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর উপর বিএনপি সরকারের নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে তিনি জানান, গত ৭ জানুয়ারি জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা। জনগণকে পরামর্শ নিয়ে তিনি বলেন, ‘গরম নতুন কিছু নয়। কালবৈশাখী পিছিয়ে গেছে। গরমে চলাফেরার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।’